দ্রবন(Solution)

 দ্রবণ :

দুই বা ততোধিক পদার্থের সমসত্ত্ব মিশ্রণ এর যে কোনো অংশের উপাদান ,গঠন ও ধৰ্ম একই হয় এবং উপাদান গুলির আপেক্ষিক অনুপাত একটি নিৰ্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত বাড়ানো যায়  তাহলে ওই মিশ্রণ কে দ্রবণ বলে ।যেমন - চিনির সরবত ।

দ্রাব ও দ্রাবক (Solute and Solvent):

দুটি পদার্থের সমসত্ত্ব মিশ্রনের ফলে যে দ্রবণ তৈরি হয় ,তার মধ্যে যে পদার্থটির পরিমাণ কম থাকে এবং যে নিজে মিশে যায় তাকে দ্রাব বলে । আবার দ্রবণের মধ্যে যে উপাদানটির পরিমাণ বেশি থাকে এবং যার ভৌত অবস্থা দ্রবনের ভৌত অবস্থা হয় তাকে দ্রাবক বলে ।

অর্থাৎ দ্রবণ = দ্রাব + দ্রাবক 

30 গ্রাম জলে 70 গ্রাম এলকোহল মিশালে দ্রাব হবে জল এবং দ্রাবক হল এলকোহল কারণ এলকোহল বেশি আছে ।

আবার হল গ্রাম জলে 110 গ্রাম পটাসিয়াম নাইট্রেট মিশিয়ে দ্রবণ তৈরি করলে দ্রাবক হবে জল ,কারণ দ্রবণ ও জলের ভৌত অবস্থা একই ।

দ্রবণের প্রকারভেদ :

দ্রাব ও দ্রাবকের ভৌত অবস্থা অনুযায়ী দ্রবণ কয়েক প্রকারের হয় -

i) দ্রাব - কঠিণ , দ্রাবক - তরল 

যেমন- চিনি , তুঁতে ( কপার সালফেট ),সাধারণ লবণ জলে সম্পূর্ণ ভাবে দ্রবীভূত হয়ে  যে দ্রবণ উৎপন্ন হয় তা তরলে কঠিনের দ্রবণ ।

ii) দ্রাব - তরল , দ্রাবক - তরল :
যেমন - এলকোহল
 জলে দ্রবীভূত হয়ে যে সমসত্ত্ব মিশ্রণ গঠন করে তা হল তরলে তরলে দ্রবণ ।

ii)দ্রাব - গ্যাস,দ্রাবক- তরল :
যেমন
- সোডা ওয়াটার , CO₂ জলে দ্রবীভূত হয়ে সোডা ওয়াটার তৈরি হয় ।

এছাড়া বায়ু হল গ্যাসীয় পদার্থের সঙ্গে গ্যাসের দ্রবণ ।

কাঁসা ,পিতল ও ব্রোঞ্জ হল কঠিন পদার্থের সঙ্গে কঠিন পদার্থের দ্রবণ ।

কলয়েড (Colloid):

একটি পদার্থ (কঠিন ,তরল বা গ্যাসীয় ) অপর একটি পদার্থের ( কঠিন ,তরল  বা গ্যাসীয় ) মধ্যে 10⁻⁷ cm থেকে 10⁻⁵ cm ব্যাস বিশিষ্ট কণা রূপে বিস্তৃত থেকে যে দ্বিদশাবিশিষ্ট স্থায়ী অসমসত্ব মিশ্রণ উৎপন্ন করে তাকে কলয়েড বলে ।কলয়েড কণাগুলি ফিল্টার কাগজের মধ্য দিয়ে যেতে পারে কিন্তু পার্চমেন্ট কাগজের মধ্য দিয়ে যেতে পারে না । উদাহরণ - চা ,কফি ,ভাতের ফ্যান হল কলয়েড দ্রবণের উদাহরণ ।

বিস্তৃত দশা ও বিস্তার মাধ্যম :
কলয়েড দ্রবণের  দুটি অংশ , বিস্তৃত দশা ও বিস্তার মাধ্যম ।

বিস্তৃত দশা - কলয়েড দ্রবণে যে কণাগুলি ( ব্যাস 10⁻⁷ cm থেকে 10⁻⁵ cm ) প্রলম্বিত অবস্থায় ইতস্তত ঘোরাফেরা করে তাদের বিস্তৃত দশা(dispersed phase)  বলে ।

বিস্তার মাধ্যম: যে মাধ্যমে কলয়েড কণাগুলি প্রলম্বিত থাকে সেই মাধ্যমকে বিস্তার মাধ্যম (dispersing medium)বলে ।

প্রলম্বন (Suspension):
কোনো তরলে কোনো কঠিনপদার্থের মিহি গুঁড়া মিশিয়ে দিয়ে বেশ কছুক্ষন ঝাঁকালে কণাগুলি তরলের সব জায়গায় সমান ভাবে ছড়িয়ে পড়ে । কিছুক্ষণ স্থিরভাবে রেখে দিলে ভারী কণাগুলি স্থিতিয়ে পড়ে কিন্তু ক্ষুদ্রকণাগুলি ভাসমান অবস্থায় থাকে ।এই রকম মিশ্রণ কে প্রলম্বন বলে । মিশ্রণটিকে দীর্ঘ দিন রেখে দিলে কণাগুলি অধঃক্ষিপ্ত  হয়ে যায় ।উদাহরণ - নদী নালার জল  ইত্যাদি ।

দ্রবণ ,কলোয়েড ও প্রলম্বনের কণিকার ব্যাসের তুলনা :

 প্রকৃত দ্রবণে কণার ব্যাস 

 কলয়েড দ্রবণে কণার ব্যাস 

 প্রলম্বনে কণিকার ব্যাস 

 < 10⁻⁷ cm 

 10⁻⁷ cm< ব্যাস < 10⁻⁴cm

 >= 10⁻⁴ cm

 বিভিন্ন প্রকার কলোডিয় দ্রবণ :বিস্তৃত দশা ও বিস্তার মাধ্যমের ভৌত অবস্থা অনুযায়ী  বিভিন্ন প্রকারের কলোয়েড দ্রবণ 

 

 বিস্তৃত দশা 

 বিস্তার মাধ্যম 

 নাম 

 উদাহরণ 

 1

 কঠিন 

 তরল 

 সল 

 রং ,কালি ,নদীর ঘোলা জল 

 2

 কঠিন 

 গ্যাস 

 এরোসল 

 ধুঁয়া 

 3

 কঠিন 

 কঠিন 

 কঠিন সল 

 সংকর ধাতু ,কাচ 

 4

 তরল 

 তরল 

 এমালসন 

দুধ  

 5

 তরল 

গ্যাস  

 এরোসল 

 কুয়াশা 

 6

 তরল 

 কঠিন 

 জেল 

 মাখন ,চীজ 

 7

 গ্যাস 

 তরল 

 ফোম 

 সাবানের ফেনা 

 8

 গ্যাস 

 কঠিন 

 কঠিন ফোম 

 ঝামা পাথর 

ইমালসান :

কোনো কলোয়েড দ্রবনের বিস্তৃত দশা ও বিস্তার মাধ্যম উভয়েই তরল হলে মিশ্রণটিকে ইমালসান বলে ।বিস্তৃত কণার ব্যাস 10⁻⁴ cm থেকে 10⁻⁵ cm হয় ।অণুবীক্ষণ যন্ত্রে কণাগুলিকে দেখা যায় ।

ইমালসান কারক : ইমালসান এর স্থায়িত্বের যে পদার্থ যোগ করা হয় তাকে ইমালসান কারক বলে ।

ইমালসান দুই প্রকারের হয়  i) জলে তেল ii) তেলে জল ।

i) জলে তেল : উদাহরণ - দুধ , এখানে জলের মধ্যে চর্বির ক্ষুদ্র কণাগুলি ছড়িয়ে থাকে , দুধের প্রোটিন 

 ইমালসান কারকের কাজ করে ।

ii) তেলে জল  : উদাহরণ - মাখন ,জলের অতি ক্ষুদ্র কণা গুলি চর্বির মধ্যে ছড়িয়ে থাকে ।

দ্রাব্যতা :

কোনো নিৰ্দিষ্ট তাপমাত্রায় 100 গ্রাম দ্রাবকে যত গ্রাম দ্রাব দ্রবীভূত হয়ে সম্পৃক্ত দ্রবণ তৈরি করে ,দ্রাবের সেই গ্রাম সংখ্যাকে ওই নিৰ্দিষ্ট তাপমাত্রায় ওই দ্রাবের দ্রাব্যতা বলে ।

যদি কোনো নিৰ্দিষ্ট তাপমাত্রায় m গ্রাম জলে n গ্রাম দ্রাব দ্রবীভূত হয়ে সম্পৃক্ত দ্রবণ তৈরি করে  তাহলে ওই নিৰ্দিষ্ট তাপমাত্রায় দ্রাব্যতা হবে  n গ্রাম /m গ্রাম  x 100 = 100n/m 

দ্রাব্যতা র  কোনো একক নাই ,কারণ এটি দুটি ভরের অনুপাত মাত্র ।

কঠিন পদার্থের দ্রাব্যতা তিনটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে - i) দ্রাবের প্রকৃতি ii) দ্রাবকের প্রকৃতি  iii) দ্রবণের উস্নতা নিৰ্দিষ্ট উস্নতায় একই দ্রাবকে যেমন জলে KNO₃ ও NaCl দ্রাবত্যা ভিন্ন ।আবার জলের পরিবর্তে ইথার , এলকোহলে একই পদার্থের দ্রাব্যতা একই উস্নতায় ভিন্ন হয় ।

দ্রাব্যতার উপর উস্নতার প্রভাব :

সাধারণত কঠিন দ্রাবের তরল দ্রাবকে উস্নতা বৃদ্ধিতে দ্রাব্যতা বৃদ্ধি পায় ।আবার উস্নতা হ্ৰাস পেলে দ্রাব্যতা হ্রাস পায় ।KNO₃ এর দ্রাব্যতা উস্নতা বৃদ্ধিতে বাড়ে । কিন্তু NaCl এর দ্রাব্যতা উস্নতা বৃদ্ধিতে প্রায় একই থাকে ।Ca(OH)₂ এর দ্রাব্যতা উস্নতার বৃদ্ধির সঙ্গে হ্রাস পায় । এই জন্য কলিচুন গরম জল অপেক্ষা ঠান্ডা বেশি দ্রাব্য ।

দ্রাব্যতা লেখ :

যে লেখচিত্রে পদার্থের দ্রাব্যতা ও উস্নতার সম্পর্ক জানা যায় তাকে দ্রাব্যতা লেখ বলে ।



দ্রাব্যতা লেখের উপযোগিতা _

i) কোনো নিৰ্দিষ্ট উস্নতায় পদার্থের জানা যায় । ii) উস্নতা পরিবর্তনের সঙ্গে দ্রাব্যতার পরিবর্তনের প্রকৃতি জানা যায় ।ii) একই উস্নতায় বিভিন্ন পদার্থের দ্রাব্যতা তুলনা করা যায় ।

জলে গ্যাসের দ্রবনীয়তা ও দ্রব্যতার উপর চাপের প্রভাব :

তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে সাধারণত জলে গ্যাসের দ্রাব্যতা হ্রাস পায় ।ঠান্ডা জলে গ্যাসের দ্রাব্যতা বৃদ্ধি পায় । আবার নিৰ্দিষ্ট তাপমাত্রায় চাপ বৃদ্ধি করলে গ্যাসের দ্রাব্যতা বৃদ্ধি পায় । চাপ হ্রাস করলে দ্রাব্যতা হ্রাস পায় এবং দ্রবণ থেকে অতিরিক্ত গ্যাস বেরিয়ে আসে ।এই জন্য সোডার বোতলের ছিপি খুললে চাপ হ্রাস পায় ফলে অতিরিক্ত কার্বনডাইঅক্সাইড বেরিয়ে আসে ।

দ্রবণের শ্রেণীবিভাগ :গাঢ়ত্ব অনুসারে দ্রবণ তিন প্রকার - i) অসম্পৃক্ত দ্রবণ  ii) সম্পৃক্ত দ্রবণ  iii) অতিপৃক্ত দ্রবণ ।

i) অসম্পৃক্ত দ্রবণ(Unsaturated Solution)- নিৰ্দিষ্ট তাপমাত্রায় কোনো দ্রবণে যদি আরো দ্রাব দ্রবীভূত করা যায় তাহলে ওই তাপমাত্রায় ওই দ্রবনকে অসম্পৃক্ত দ্রবণ বলে ।

দ্রবণের আয়তন দ্রাবকের আয়তনের সমান হয় কারণ দ্রাবের অণুগুলি দ্রাবকের অণুগুলির অন্তরানাবিক ফাঁকের মধ্যে ঢুকে যায় ,ফলে আয়তন অপরিবর্তিত থাকে । কিন্তু ঘনত্ব বৃদ্ধি পায় ।

 ii) সম্পৃক্ত দ্রবণ(Saturated Solution) - কোনো নিৰ্দিষ্ট তাপমাত্রায় কোনো নিৰ্দিষ্ট পরিমাণ দ্রাবকে সর্বাধিকপরিমাণ দ্রাব দ্রবীভূত থাকলে ঐ দ্রাবণকে সম্পৃক্ত দ্রবণ বলে ।সম্পৃক্ত দ্রবণের ঘনত্ব সর্বাধিক হয় ।

সম্পৃক্ত দ্রবণে উস্নতার প্রভাব - উস্নতা বৃদ্ধি করলে সম্পৃক্ত দ্রবণ অসম্পৃক্ত হয়ে যায় , দ্রবণের দ্রাব গ্রহণ করার ক্ষমতা বাড়ে ।আবার উস্নতা হ্রাস করলে অতিরিক্ত দ্রাব থিতিয়ে পড়ে , দ্রবণটি কিন্তু সম্পৃক্তই থাকে ।

কোনো দ্রবণের দ্রাব গ্রহণ করার ক্ষমতা তিনটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে - i) দ্রাব ও দ্রাবকের প্রকৃতি  ii) দ্রাবকের পরিমাণ iii) উস্নতা 

iii) অতিপৃক্ত দ্রবণ (Supersaturated Solution) - নিৰ্দিষ্ট তাপমাত্রায় কোনো সম্পৃক্ত দ্রবণে যত পরিমাণ দ্রাব থাকা দরকার কোনো বিশেষ অবস্থায় ওই দ্রবণে যদি তার থেকেও বেশি দ্রাব দ্রবীভূত থাকে তবে দ্রবনটিকে অতিপৃক্ত দ্রবণ বলে । এই দ্রবণ খুব অস্থায়ী । একে নাড়ালে দ্রবণ থেকে অতিরিক্ত দ্রাব পৃথক হয়ে যায় ।



অতিপৃক্ত দ্রবণ প্রস্তুতি - একটি পরীক্ষানলে কিছু পরিমাণ সোডিয়াম থায়োসালফেট ( Na₂S₂O₃ 5H₂O )কেলাস নিয়ে সামান্য গরম করলে থায়োসালফেট কেলাস কেলাস জলে দ্রবীভূত হয়ে দ্রবণ উৎপন্ন হয় । এই দ্রবণহল অতিপৃক্ত দ্রবণ । এই দ্রবণে এক টুকরা থায়োসালফেটের কেলাস ফেললে দ্রবণটি পুনরায় জমে কঠিন হয়ে যায় ।

কেলাসন (Crystallisation):

যে পদ্ধতিতে কোনো পদার্থের দ্রবণ থেকে ওই পদার্থের কেলাস পাওয়া যায় সেই পদ্ধতিকে কেলাসন বলে ।

কেলাস জল -কতকগুলি কঠিন পদার্থের দ্রবণ থেকে কেলাস গঠনের সময় ওই কঠিন পদার্থের অণু জলের  অণুর সঙ্গে রাসায়নিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে কেলাসে পরিণত হয় ।কেলাসে উপস্থিত নিৰ্দিষ্ট সংখ্যক জলের অণুকে কেলাস জল বলে ।

যে কেলাসগুলিতে কেলাস জল থাকে তাদের সোদক কেলাস বলে । উদাহরণ - ব্লুভিট্রিয়ল - CuSO₄ 5H₂O  , গ্রীন ভিট্রিওল - FeSO₄ 7H₂O  , সোডিয়াম কার্বনেট - NaCO₃ 10H₂O

কেলাস প্রস্তুতি :
কোনো সম্পৃক্ত দ্রবণে দ্রাবের ছোটো কেলাস সুতোর সাহায্যে ঝুলিয়ে দিলে ওই কেলাসের গায়ে দ্রাবের আরো কেলাস জমতে দেখা যায় - একে অধিবৃদ্ধি বলে । পটাশ এলামের সম্পৃক্ত দ্রবণে একটি সুতোর সাহায্যে ফটকিরি র একটি ছোটো কেলাস ডুবিয়ে রাখলে দেখা যাবে ওই ছোটো কেলাসের গায়ে ফিটকিরি জমা হচ্ছে । ফলে কেলাসটির আকার ক্রমশ বড় হবে ।

একটি বড় পাত্রে কিছু পরিমাণ জল নিয়ে তাতে কপার সালফেট যোগ করা হল , এরপর উতপ্ত করা হল এবং ভালোভাবে নাড়তে থাকা হল ,আবার কপার সালফেটের টুকরা যোগ করা হতে থাকলো যত ক্ষণ না পাত্রের তলায় থিতিয়ে পড়ে ।এরপর স্বচ্ছ দ্রবণ ছেঁকে নিয়ে ঠান্ডা করলে নীল রঙের কপার সালফেট (CuSO₄ 5H₂O) এর কেলাস পাওয়া যায় ।

আয়োডিন ,কর্পূর প্রভৃতি পদার্থকে উতপ্ত করে উর্ধপাতিত হয়ে ঠান্ডা দেওয়ালে কেলাস আকারে জমা হয় ।

দ্রবনের শক্তি মাত্রা :

দ্রবণের গাঢ়ত্ব গ্রাম /লিটার এবং শতকরা হিসাবে প্রকাশ করা হয় ।কোনো দ্রবণের গাঢ়ত্ব 50 % বলতে বোঝায় যে 100 মিলি জলে দ্রাবের পরিমাণ 50 গ্রাম । দ্রবণের গাঢ়ত্বের আর একটি একক হল মোলারিটি ।

মোলারিটি (Molarity) - কোনো দ্রবণের 1লিটার ( 1000 সিসি ) আয়তনে যত গ্রাম অণু দ্রবীভূত থাকে সেই সংখ্যাকে ওই দ্রবণের মোলারিটি বলে । কোনো দ্রবণে এক গ্রাম অণু দ্রাব দ্রবীভূত থাকলে তার মাত্রা হবে  এক মোলার (M) | আবার 0.5 গ্রাম অণু দ্রবীভূত থাকলে মাত্রা হবে 0.5 M  | 

দ্রবণের মধ্যে কণার গতি :
আলট্রা মাইক্রোস্কোপের সাহায্যে দেখা যায় যে কলোয়েড কণাগুলি অবিরাম আঁকাবাঁকা পথে ইতস্তস ঘোরা ফেরা করে । এই গতিকে ব্রাউনীয় গতি বলে ।


কণার আকার যত ছোটো হয় গতিও তত দ্রুত হয় । উস্নতা হ্রাস বা পরিবেশের পরিবর্তন করে গতি থামানো যায় না । ব্রাউনিও গতির কারণ হল বিস্তার মাধ্যমের কণাগুলি গতিশীল থাকার জন্যে কলোয়েড  কণার উপর একটি বল প্রযুক্ত হয় ।ব্যাপণ :
দ্রবণের কণা গুলি অবিরাম গতির ফলে দুটি ভিন্ন গাঢ়ত্বের দ্রবণ পাশাপাশি রেখে দিলে বেশি গাঢ়ত্বের দ্রবণের কণা গুলি কম গাঢ়ত্বের দ্রবণে প্রবেশ করে এবং এই প্রক্রিয়াটি চলতে থাকে যতক্ষণ না দুটি দ্রবণের গাঢ়ত্ব সমান হয় । উদাহরণ - জলে কালি ফেললে কালি জলের চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে ।


সঠিক উত্তরটি নির্বাচন কর : https://forms.gle/FrPacR9AtU5JP6Nz8
1. দ্রবণ একটি - 
a) মিশ্র পদার্থ  b) মৌলিক পদার্থ  c ) যৌগিক পদার্থ  d) তরল পদার্থ 
2. গন্ধকের একটি দ্রাবক - 
a) জল  b)  ইথাইল এলকোহল   c) কার্বন ডাই সালফাইড d)  মিথাইল এলকোহল 
3. উস্নতা বৃদ্ধিতে দ্রাব্যতা হ্রাস পায় এমন একটি পদার্থ হল -
  a)   KNO₃  b) CaSO₄ c)  NaCl  d) CuSO₄ 
4. 40º C উস্নতায় 50 g জলে 18.3 g সোডিয়াম ক্লোরাইডে দ্রবীভূত হয়ে সম্পৃক্ত দ্রবণ তৈরি হয় । এই উস্নতায় সোডিয়াম ক্লোরাইডের দ্রাব্যতা হবে -
a) 18.3   b) 36.6   c) 50  d)  40
a) 18.3   b) 36.6   c) 50  d)  4০ 
 5. সম্পৃক্ত দ্রবণ কে উত্তপ্ত  করলে - 
a) দ্রবণটি অসম্পৃক্ত হয়  b) দ্রবণটি সম্পৃক্তই থাকে  c)  দ্রবণটি অতিপৃক্ত হয়   d) দ্রবণ থাকবে না 
6. সোদক সোডিয়াম কার্বোনেটের একটি অণুতে জলের অণুর সংখ্যা হল -
a) 5 b) 7  c) 10 d) 3 
7. সম্পৃক্ত দ্রবণে অতিরিক্ত দ্রাবক যোগ করলে -
a) দ্রবণটি অতিপৃক্ত হয়  b)  দ্রবণটি সম্পৃক্তই থাকে c) দ্রবণটি অসম্পৃক্ত হয় d) বলা যাবে না 
8. অসম্পৃক্ত দ্রাবণকে ঠান্ডা করতে থাকলে একটি বিশেষ উস্নতায় -
a) দ্রবণটি সম্পৃক্ত হবে  b) দ্রবণটি অসম্পৃক্তই থাকে c )   দ্রবণটি অতিপৃক্ত হয় d) বলা যাবে না 
9. উস্নতা বৃদ্ধিতে তরলে গ্যাসের দ্রাব্যতা - 
 a) বৃদ্ধি পায়  b) হ্রাস পায়  c) একই থাকে  d) বৃদ্ধি বা হ্রাস পায় 
10. কোনো দ্রবণে দ্রাব কণার ব্যাস 10⁻⁵ cm ও 10⁻⁷ cm এর মধ্যে হলে - 
a) কলোয়েড দ্রবণ গঠিত হয়  b) সম্পৃক্ত দ্রবণ গঠিত হয়   c) প্রকৃত দ্রবণ গঠিত হয়  d)  কোনোটাই নয়
11. একটি উদগ্রাহী পদার্থ হল -
a) সোডিয়াম কার্বনেট  b)  ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড    c) সোডিয়াম সালফেট  d)   সোডিয়াম বাইকার্বনেট 
12. উস্নতা বৃদ্ধিতে দ্রাব্যতা বৃদ্ধি পায় পদার্থটি হল -

a) CaSO₄  b) Ca(OH)₂  c) KNO₃ d) H₂O 
13. উস্নতা বৃদ্ধিতে দ্রাব্যতা প্রায় একই রকম থাকে পদার্থটি হল -
a) NaCl  b)  CaSO₄   c)  KNO₃  d) CuSO₄ 

 কুইজ -1 [  https://forms.gle/QCtyzmwknDJzV5q18  ]

1.একটি নিউট্রন কণার ভর (m) = 1.6725 x 10⁻²⁷ kg, এবং তরঙ্গ দৈর্ঘ্য 800 pm হলে নিউট্রনের গতিবেগ -

a) 420.32 ms⁻¹ 

b) 820.64 ms⁻¹

 c) 494.5 ms⁻¹ 

d) 1130.98 ms⁻¹

2. নীচের কোন কোয়ান্টাম সংখ্যা বিন্যাস টি সঠিক নয় ?

a) n = 0 ,l =0 ,mℓ = 0 ,m🇸 = +1/2

b) n = 1,  l = 0 , mℓ = 0 ,ms = -1/2 

c) n = 2 ,l = 1 ,mℓ  = 0 ms == + 1/2 

d) n = 2 , l = 1 ,mℓ   = 0 ,ms = -1/2

3.শক্তির নিম্ন ক্রম থেকে ঊর্ধক্রমে উপ শক্তিস্তরগুলিকে  সাজালে নীচের কোনটি সঠিক ?

a) 4s <3d <4p<5s

b) 3d <4s < 4p <5s

c) 3d < 4s < 5s < 4p

d) 4s < 3d < 5s <4p 

4. নীচের কোনটি কপার পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাস ?

a) 1s² 2s² 2p⁶ 3s² 3p⁶ 4s² 3d⁹

b)  1s² 2s²  3s² 2p⁶3p⁶ 4s² 3d⁹

c)  1s² 2s² 2p⁶ 3s² 3p⁶ 4s¹ 3d¹⁰

d)  1s² 2s⁴ 2p⁶ 3s² 3p⁶ 4s² 3d⁹
5. 5f  উপশক্তি স্তরে সর্বোচচ ইলেকট্রন থাকতে পারে - 
a) 7 টি  b) 2 টি   c) 14 টি   d) 28টি 
6. Cr²⁺ এর ইলেকট্রন বিন্যাস নীচের কোনটি ?
a)  1s² 2s² 2p⁶ 3s² 3p⁶  3d³
b)  1s² 2s² 2p⁶ 3s² 3p⁶ 3d²
c)  1s² 2s² 2p⁶ 3s² 3p⁶  3d¹
d)  1s² 2s² 2p⁶ 3s² 3p⁶ 3d⁴
7. নিম্ন লিখিত জোড়গুলির মধ্যে কোনটি আইসোডিয়াফার ?
a) ¹³C₆ , ¹⁶O₈ 
b) ¹H₁ , ²H₁
c) ³H₁, ⁴He₂
d) ⁵⁵Mn₂₅ , ⁶⁵Zn₃₀ 
8. 5d  কক্ষপথের মোট নোড : রেডিয়াল নোড : কৌণিক নোড হল 
a) 4 : 3 : 2 
b) 5 : 2 :1
c) 4 : 2: 2 
d) 5 : 1 :2
9. উপশক্তি স্তর নিৰ্দেশকারী কোয়ান্টাম সংখ্যাটি হল -
a) n  
b) l 
c) m 
d) s
10. হাইড্রোজেন পরমাণুর প্রথম কক্ষপথের ব্যাসার্ধ 0.53 A⁰ হলে ,চতুর্থ কক্ষপথের ব্যাসার্ধ হবে -
a) 8.01 A⁰
b) 8.48 A⁰
c) 8.49 A⁰
d) 8.50 A⁰
11.হাইড্রোজেন পরমাণুর প্রথম কক্ষের মোট শক্তি  - 0.31 e v হলে তৃতীয় কক্ষপথের মোট শক্তি -
a) - 0.034 ev 
b) - 0.34 ev 
c) -0.31 ev 
d) -0.62 ev

MCQ for H.S

 1. A chemical cell of emf  E and internal resistance r is connected to a resistance R .The potential difference across R is given by :  A) ...