ভেক্টর এবং স্কেলার :
একটি ভেক্টর রাশির মান ও অভিমুখ থাকে । একটি নিৰ্দিষ্ট নিয়মে ভেক্টর রাশিসমূহ পরস্পর সংযোজিত হয় । সরণ , বেগ ও ত্বরণ হলো কতকগুলি ভেক্টর রাশির উদাহরণ । আরও অনেক ভেক্টর রাশি আছে । কিন্তু সমস্ত প্রাকৃতিক রাশি যাদের সঙ্গে কোনো অভিমুখ জড়িত নয় , যেমন - তাপমাত্রা ,চাপ, শক্তি,ভর এবং সময় ইত্যাদির সহিত কোনো অভিমুখ সযুক্ত নয় । এগুলিকে স্কেলার রাশি বলে । স্কেলার রাশিকে সাধারণ বীজগণিতের নিয়মে সংযুক্ত করা হয় । একটি চিহ্নযুক্ত সংখ্যা দ্বারা স্কেলার রাশিকে নিৰ্দিষ্ট ( যেমন - -40⁰F ) করা হয় ।
সবচেয়ে সরলতম ভেক্টর রাশি - অবস্থান ভেক্টর বা সরণ । যে ভেক্টরের দ্বারা কোনো বিন্দুর অবস্থান প্রকাশ করা হয় তাকে সরণ বা অবস্থান ভেক্টর বলে । যদি একটি বস্তুকণা A অবস্থান থেকে B অবস্থানে পরিবর্তিত হয় তখন A থেকে B পর্যন্ত্য একটি তীর চিহ্নের দ্বারা কণাটির সরণ প্রকাশ করা হয় ।
চিত্রে A থেকে B তীর চিহ্ন , A′ থেকে B′ তীর চিহ্ন এবং A″ থেকে B″ তীর চিহ্ন এর মান ও অভিমুখ একই । এইগুলি সবই একই সরণ ভেক্টরকে প্রকাশ করে । একটি ভেক্টরকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পরিবর্তন করা যেতে পারে ওর মান ও অভিমুখের পরিবর্তন না করে ।
অবস্থান ভেক্টরের দ্বারা বস্তুকণার গতির প্রকৃত পথ সম্পর্কে কিছুই জানা যায় না । অবস্থান ভেক্টর দ্বারা গতির চূড়ান্ত ফল জানা যায় বিন্তু গতি কোন পথে বা কোন রাস্তায় ঘটে তা জানা যায় না । চিত্রে A থেকে B তে যাওয়ার তিনটি পথ দেখানো হয়েছে । তিনটি গতিকেই একই অবস্থান AB ভেক্টর দ্বারা প্রকাশ করা হয় ।
জ্যামিতিক ভাবে ভেক্টরের সংযোজন :
ধরি একটি বস্তুকণা A থেকে B তে , পরে B থেকে C তে গমন করে । বস্তু কণা টি যে পথেই যাক না কেন , এক্ষেত্রে গতিটিকে দুটি ভেক্টরের দ্বারা প্রকাশ করতে পারি । এই দুটি ভেক্টর হলো AB এবং BC । এই দুই ভেক্টরের সম্মিলিত যোগফল হলো একটি ভেক্টর যা A থেকে C ঘটে | এখানে AC ভেক্টর হলো AB ও BC ভেক্টর দ্বয়ের লব্ধি বা যোগফল । এই যোগফল কোনো বীজগাণিতিক যোগফল নয় ।
তীর চিহ্ন যুক্ত চিহ্ন দ্বারা ভেক্টর লেখা হয়। এর দ্বারা মাণ ও অভিমুখ দুটোই প্রকাশ পায়। উপরের তিন টি ভেক্টরের সম্পর্ক নিচের সমীকরণের সাহায্যে লেখা হয়।
s = a + b
উপরের সমীকরণ দ্বারা জানা যায় a ও b ভেক্টরের লব্ধি বা যোগফল হল s ভেক্টর।ভেক্টর যোগ বীজগাণিতিক যোগের থেকে আলাদা।ভেক্টর যোগের মধ্যে মান ও অভিমুখ দুটোই সংযুক্ত থাকে।
উপরের চিএে জ্যামিতিক উপায়ে a ও b ভেক্টরের যোগ দেখানো হয়েছে। কাগজের উপরে সুবিধা মত স্কেলে a ভেক্টর আঁকা হয়। ওই একই স্কেলে a ভেক্টরের অগ্রভাগে b ভেক্টরের পশ্চাৎ প্রান্ত বসিয়ে b ভেক্টর(সমান্তরাল ভাবে) অঙ্কণ করা হয়। এর পর a ভেক্টরের পশ্চাৎ অংশের সঙ্গে b ভেক্টরের অগ্রভাগ যুক্ত করা হয় এবং লব্ধি ভেক্টর s ণির্ণয় করা হয়।
ভেক্টর যোগের দুটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ঠ আছে। প্রথমত ভেক্টর যোগ ক্রম নিরপেক্ষ। a র সঙ্গে b ভেক্টর যোগ করলে যে ফল পাওয়া যাবে, b এর সঙ্গে a যোগ করে একই ফল পাওয়া যাবে।
দ্বিতীয়ত যেখানে দুই এর অধিক ভেক্টর যুক্ত হয় তখন যে কোনো ক্রমে দলবদ্ধ করে আমরা ভেক্টর গুলি যোগ করতে পারি।
এই ভাবে যদি আমরা a, b ও c ভেক্টর যোগ করতে চাই তাহলে a, b যোগফলের সাথে c ভেক্টর যোগ করতে পারি অথবা b, c এর যোগফলের সাথে a যোগ করতে পারি। উভয় ক্ষেএে একই ফল পাওয়া যাবে।
- b ভেক্টর হল b এর সমান কিন্থ বিপরীত মুখী। b ভেক্টরের সঙ্গে - b ভেক্টর যোগ করলে শৃন্য ভেক্টর ( null vector) হয়।
b + ( - b ) = 0
- b ভেক্টর যোগের অর্থ হল b ভেক্টরের বিযোগ ফল।
এই বৈশিষ্ঠ কাজে লাগিয়ে দুটি ভেক্টরের বিযোগ ফল সজ্ঞায়িত করা যায়।
যেমন - d = a - b = a + ( -b )
অর্থাৎ a ভক্টরের সঙ্গে - b যোগ করে d ভেক্টর পাওয়া যায়।
যদিও এখানে আমরা সরণ ভেক্টর ব্যবহার করেছি, ভেক্টর যোগ ও বিযোগ এর নিয়ম সকল ভেক্টর রাশির ক্ষেএে প্রযোয্য। অবশ্য আমরা দুটি একি প্রকার ভেক্টর যোগ করতে পারি। যেমন - সরণের সঙ্গে সরণের যোগ, গতি বেগের সঙ্গে গতিবেগের যোগ ইত্যাদি। সরণের সঙ্গে গতিবেগ যোগের কোন অর্থ হয় না।
ভেক্টর যোগের সামান্তরিক সূএ :
যদি একটি সামান্তরিকের দুটি সন্নিহিত বাহুর দ্বারা দুটি ভেক্টরকে মানে ও অভিমুখে প্রকাশ করা যায় তাহলে ওই সন্নিহিত বাহু দুটির সংযোগ বিন্দু দিয়ে অঙ্কিত কর্ণটি ভেক্টর দ্বয়ের লব্ধির মান ও অভিমুখ প্রকাশ করবে।
মনে করি A ও B ভেক্টর দ্বয়ের মধ্যে কোন α। B ভেক্টরকে সমান্তরাল ভাবে সরিয়ে QR অবস্থানে আনা হল।এর পর PR যোগ করা হল। PR হল A ও B ভেক্টরের লব্ধি। এখন PQRS সামান্তরিক সম্পূর্ণ করা হল।
∴ PQ + QR = PR
বা, A + B = C
ভেক্টর যোগের সামান্তরিক সূএ থেকে এিভুজ সূএ পাওয়া যায়।
ভেক্টর যোগের এিভুজ সৃএ :
একই ক্রমে গ্রিহীত একটি এিভুজের দুটি বাহু দুটি ভেক্টরকে মানে ও অভিমুখে প্রকাশ করলে বিপরীত ক্রমে গ্রিহীত তৃতীয় বাহুটি লব্ধির মান ও অভিমুখ প্রকাশ করবে।
লব্ধি ভেক্টরের মান ও অভিমুখ নির্ণয়ের পদ্ধতি নিম্নে প্রদও হল। মনে করি A ওB ভেক্টরের মধ্যের কোন α। লব্ধি ভেক্টর C , A ভেক্টরের সঙ্গে β কোন করে।
R থেকে PQ এর বর্ধিতাংশের উপর RT লম্ব টানা হল। PRT সমকোণী এিভুজ থেকে পাই
PR² = PT² + RT²
= ( PQ +QT)² + RT²
= PQ² + 2PQ.QT + QT² + RT²
RQT সমকোণী এিভুজ থেকে পাই,
RT/QR = sin α, QT/QR = cosα
RT = QR sinα, QT = QR cosα
উপরের সম্পর্ক গুলি ব্যবহার করে
PR² = PQ² + 2PQ QR cosα + QR² cos²α + QR²sin²α
PR² = PQ² + QR² + 2PQ. QR cosα
C² = A² + B² + 2 AB cosα
∴ C = ✓( A² + B² + 2AB cos α)
লব্ধি ভেক্টর C অভিমুখ কোণ β থেকে জানা যায় ।
উপরের চিত্র থেকে পাওয়া যায় -
tan β = RT/PT = RT/ (PQ + QT)
= QR sin α / ( PQ + QR cos α )
tan β = B sin α/( A + B cos α)
উপরের সম্পর্ক থেকে β কোণের মান জানা যায় ।
ভেক্টর যোগের বহুভূজ সূত্র :
যদি একটি বহুভূজের একই ক্রমে গৃহীত বাহুগুলির দ্বারা কতক গুলি ভেক্টরকে মানে এবং অভিমুখে প্রকাশ করা যায় তাহলে বিপরীত ক্রমে গৃহীত শেষ বাহুটি উক্ত ভেক্টরগুলির লব্ধির মান ও অভিমুখ প্রকাশ করবে ।
উপরের চিএে PQRST বহুভূজের PQ, QR, RS ও ST বাহুর দ্বারা যথাক্রমে A, B, C এবং D ভেক্টর কে বুঝানো হয়েছে। এই ভেক্টরগুলির লব্ধি E ভেক্টর শেষ বাহু PT দ্বারা বুঝানো যাবে।
ভেক্টরের উপাংশ :
জ্যামিতিক উপায়ে ভেক্টর যোগ জটিল হতে পারে। কিন্তু কার্তেসীয় পদ্ধতিতে ভেক্টর রাশির উপাংশে বিভাজনের দ্বারা ভেক্টর যোগ অনেক সহজ হয়।
একটি অক্ষের উপর একটি ভেক্টরের অভিক্ষেপ কে বলা হয় উহার উপাংশ।
চিএে aₓ হল a ভেক্টরের x অক্ষের দিকে উপাংশ। অনুরুপে aу হল y অক্ষের দিকে a ভেক্টরের উপাংশ।
কোনো ভেক্টরের উপাংশ নেওয়ার জন্য ভেক্টরটির দুই প্রান্ত থেকে অক্ষটির উপর দুটি লম্ব টানা হয়। x অক্ষের দিকের উপাংশকে x-উপাংশ এবং y অক্ষের দিকের উপাংশ কে y-উপাংশ বলে। ভেক্টরের উপাংশে বিভাজনের প্রকৃয়াকে ভেক্টর বিভাজন বলে।
উপাংশ ভেক্টর গুলির দিক আসল ভেক্টরের দিকের অনুরূপ হয়। চিএে x-উপাংশ এবং y-উপাংশ উভয়ই ধনাত্মক কারন a ভেক্টর উভয় অক্ষের ধনাত্মক দিকে বিস্তৃত। যদি আমরা a ভেক্টরটিকে বিপরীত মুখী করি তাহলে উভয় উপাংশের অভিমুখ ঋনাত্বক দিকে হবে । অর্থাৎ তীরচিহ্ন গুলির দিক x অক্ষ ও y অক্ষের ঋনাত্বক দিকে হবে ।
একটি ভেক্টরের সাধারণত তিনটি উপাংশ থাকে , x ,y ও z - উপাংশ । এখানে z উপাংশের মান শূন্য (0) । জামিতিকভাবে আমরা a ভেক্টরের মান উপরের সমকোণী ত্রিভুজ থেকে নির্ণয় করতে পারি । ম্যান গুলি হলো -
aₓ = a cos θ এবং aₕ = a sin θ
একটি ভেক্টরকে বিভাজিত করার পর আমরা আসল ভেক্টরের পরিবর্তে উপাংশ গুলি নিয়ে কাজ করতে পারি । আমরা যদি উপাংশ ভেক্টর গুলি জানি তাহলে আসল ভেক্টরটির মান ও অভিমুখ নীচের সমীকরণ থেকে জানা যাবে ।
a = √ ( aₓ² + aₕ²) , tanθ =aₕ/ aₓ
ত্রিমাত্রিক ক্ষেত্রে একটি ভেক্টরকে নিৰ্দিষ্ট করতে মান ও দুটি কোনের ( a ,θ , φ ) প্রয়োজন হয় অথবা তিনটি উপাংশের ( aₓ ,ay ও az ) দরকার হয় ।
একক ভেক্টর (Unit Vectors) :
একটি নিৰ্দিষ্ট দিকে ক্রিয়াশীল যে ভেক্টরের মান এক তাকে একক ভেক্টর বলে । এর কোনো মাত্রা ও একক নেই । এটি অভিমুখ বুঝানোর জন্য ব্যবহার করা হয় । x , y ও z অক্ষের দিকে বিস্তরিত একক ভেক্টরগুলিকে যথাক্রমে i , j ও k দ্বারা লেখা হয় ।
যে কোনো ভেক্টরকে একক ভেক্টরের সাহায্যে প্রকাশ করা খুবই প্রয়োজনীয় হয় । আমরা উপরের a এবং b ভেক্টরকে একক ভেক্টরের সাহায্যে নিম্নরূপে প্রকাশ করতে পারি ।
a = aₓ i + aₕ j
এবং b = bₓ i + bₕ j
এখানে aₓ i এবং aₕ j হল a ভেক্টরের উপাংশ । aₓ এবং aₕ হল a ভেক্টরের স্কেলার উপাংশ ।
এখানে i , j এবং k একক ভেক্টরের অনুরূপ সহগগুলি সংযুক্ত করা হয়েছে । উপরের পদ্ধতি ভেক্টর বিয়োগের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য , এক্ষেত্রে শুধুমাত্র অনুরূপ সহগ গুলি বিয়োগ করা হয় । উপরের ভেক্টর দুইটি বিয়োগ করলে হবে -
r = a - b
= (aₓ i + aₕ j + aₖ k) - (bₓ i + bₕ j + bₖ k)
= (aₓ - bₓ) i + (aₕ - bₕ) j +( aₖ - bₖ) k
= rₓ i + rₕ j + rₖ k ( যেখানে rₓ = (aₓ - bₓ), rₕ = (aₕ - bₕ) এবং rₖ = ( aₖ - bₖ) )
ভেক্টর ও পদার্থ বিদ্যার নিয়ম।
ভেক্টর রাশির যোগ বা বিয়োগ নির্দেশ তন্ত্র নিরপেক্ষ। যে কোনো নির্দেশ তন্ত্রে ভেকটর যোগের ফল একই হয়। কারণ - ধরা যাক x-y নির্দেশ তন্ত্রে a ভেক্টরের উপাংশ ( aₓ, aₕ)। অপর একটি নির্দেশ তন্ত্র (x ′, y′) এ উপাংশ গুলি (aₓ′, aₕ′)। এই উপাংশ গুলি একি ভেক্টরকে প্রকাশ করে।
a = ✓( aₓ² + aₕ²) = √(aₓ'² + aₕ'²)
এবং θ = θ′ + φ
এখানে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল ভেক্টর রাশির মধ্যে সম্পর্ক নির্ণয়ের ক্ষেএে নির্দেশতন্ত্র বেছে নেওয়াতে আমাদের অনেক স্বাধীনতা আছে। ভেক্টরের লব্ধি নির্দেশতন্ত্রের মূলবিন্দুর অবস্থান বা অক্ষ সমুহের অভিমুখের উপর নির্ভর করে না। পদার্থবিদ্যার নীতি গুলিও নির্দেশতন্ত্র নিরপেক্ষ অর্থাৎ কোনো নির্দেশতন্ত্রের উপর নির্ভর করে না।
ভেক্টরের গুণ:
তিন রকমের ভেক্টর গুণ আছে। এই তিন ধরনের গুনের কোনটাই সাধারণ বীজগণিতের গুণের মত নয়।
স্কেলার দিয়ে ভেক্টরের গুণ:
যদি একটি ভেক্টর a কে স্কেলার s দিয়ে গুণ করা হয় তাহলে ভেক্টর পাওয়া যায়। নূতন ভেক্টরের মান a এর মান ও s এর গুনফলের সমান এবং এর দিক a ভেক্টরের দিকর অনুরূপ হয়( s ধনাত্মক হলে)। আর s ঋনাত্মক হলে দিক বিপরীত হয়।
দুটি ভেক্টেরের গুন :
একটি ভেক্টরকে আর একটি দিযে গুন দুই প্রকারে হয়। এক প্রকার গুনে ভেক্টর গুন করলে একটি স্কেলার হয়। দ্বিতীয় প্রকার গুনে দুটি ভেক্টর গুন করলে একটি ভেক্টর হয়।
স্কেলার গুনফল :
a ও b ভেক্টরের স্কেলার গুণফলকে a.b আকারে লেখা হয় এবং এটি নিম্ন রূপে সংজ্ঞায়িত হয়।
a. b = ab cos φ
যেখানে a, b হল a ও b ভেক্টরের মান। φ হল a, b ভেক্টরের মধ্যবর্তী কোণ। স্কেলার প্রোডাক্ট হল কোনো একটি ভেক্টরের মান ও ওই ভেক্টরের অভিমুখ অন্য ভেক্টরের উপাংশের গুনফল।
উপরের সমীকরণের ডান পক্ষ একটি স্কেলার। এই গুণফল dot product নামেও পরিচিত।
স্কেলার গুণফল বিনিময় নিয়ম মান্য করে।
অর্থাৎ a.b = b.a
দুটি ভেক্টরকে একক ভেক্টরের সাহায্যে লিখে স্কেলার প্রোডাক্ট কে নিম্ন রূপে লেখা যায়।
a.b = (aₓi + aₕj + aₖk ).(bₓi + bₕj + bₖk)
= aₓbₓ + aₕbₕ + aₖbₖ( যেহেতু i.i = j.j = k.k = 1, i.j = j.k = k.i = 0)
ভেক্টর গুণফল :
a ও b ভেক্টরের ভেক্টর গুণফলকে a ×b আকারে লেখা হয়। গুণফল একটি তৃতীয় ভেক্টর c হয়। অর্থাৎ
c = a × b এবং এর মান
c = ab sin Φ, যেখানে Φ হল a ও b এর মধ্যবর্তী ক্ষুদ্রতর কোণ। এই গুণফলকে ক্রশ প্রোডাক্ট বলে। c ভেক্টরের অভিমুখ a ও b ভেক্টর দ্বারা গঠিত তলের সঙ্গে লম্ব হয় এবং দক্ষিণহস্ত নিয়ম দ্বারা ঠিক হয়।
∴ θ = π/2
উত্তর - b)
5. A ও B ভেক্টরের মধ্যে কোণ θ ও লব্ধি R হলে ,