Periodic Table(পর্যায় সারণী)

পর্যায় সারণি ( Periodic Table):
মেন্ডেলিভের পর্যায় সূত্র :
বিভিন্ন মৌলের  ভৌত  ও  রাসায়নিক  ধর্মগুলি  ওদের  পারমাণবিক  গুরুত্ত্ব বাড়ার  সঙ্গে  সঙ্গে  পর্যয়ক্রমে  পুনরাবৃত্ত  হয় ।
মেন্ডেলিভের পর্যায়  সারণি :
মেন্ডেলিভের পর্যায়  সূত্র  অনুসারে  মৌলগুলিকে  বিভিন্ন অনুভূমিক  ও  উলম্ব  সারিতে সাজিয়ে  যে  তালিকা  করা  হয়েছে তাকে  মেন্ডেলিভের পর্যায়  সারণি  বলে । এই  সারণিতে  সাতটি পর্যায়  ও  আটটি  শ্রেণী  আছে । নিষ্ক্রিয়  মৌলগুলি  মেন্ডেলিভের সময়  আবিষকৃত না  হওয়ায় ওদের কোনো  অবস্থান  ছিল না । পরে নিষ্ক্রিয় মৌল গুলিকে শূন্য  শ্রেণীতে  রাখা  হয়েছে । একই শ্রেণীর  মৌলগুলির  ধৰ্ম  ও  যোজ্যতা  একই হয় ।
   

How did Mendeleev Arrange the Periodic Table - A Plus Topper
মৌলগুলির অবস্থানের  কয়েকটি  ক্ষেত্রে  পর্যায়সূত্র  ঠিকমতো  মানা  হয়  নাই ।যেমন  অর্গনকে (Ar 39.9) পটাসিয়ামের (K 39.1) আগে , এবং কোবল্টকে (Co 58.94) নিকেলের (Ni 58.69) আগে  রাখা  হয়েছে । এক্ষেত্রে পারমাণবিক  গুরুত্ত্ব  অপেক্ষা  ভৌত রাসায়নিক  ধর্মের পুনৰাবৃত্তিকে প্রাধান্য দেওয়া  হয়েছে ।
আধুনিক পর্যায় সূত্র (সংশোধিত পর্যায় সূত্র ):
বিভিন্ন মৌলের  ভৌত  ও  রাসায়নিক  ধর্মগুলি ওদের পারমানবিক সংখ্যা  বাড়ার সঙ্গে  সঙ্গে পর্যয়ক্রমে  পুনরাবৃত্ত হয় আধুনিক  পর্যায়  অনুসারে  পর্যায়  সারণির  বর্ণনা :
পর্যায় সারণির অনুভূমিক সারিগুলিকে পর্যায়  বলে । এই  সারণিতে  মোট  7 টি  পর্যায় (Period) আছে ।
1) প্রথম পর্যায় : এই পর্যায়ে  দুটি  মৌল  আছে ।  হাইড্রোজেন (He ) এবং  হিলিয়াম (He) |
2) দ্বিতীয় পর্যায় : এখানে  8 টি  মৌল  আছে ।( Li,Be,B,C,N,O,F Ne)
3) তৃতীয় পর্যায় :  এখানেও  8 টি  মৌল  আছে । সোডিয়াম (Na ) থেকে  আর্গন (Ar) |
4) চতুর্থ পর্যায় : এই পর্যায়ে  মৌলের  সংখ্যা  18 টি । পটাসিয়াম (K ) থেকে  ক্রিপ্টন (Kr) |
5) পঞ্চম পর্যায় : এই পর্যায়েও  মৌল  আছে  18 টি । রুবিডিয়াম (Rb) থেকে  জেনন (Xe) |
6) ষষ্ট পর্যায় : এই পর্যায়ে  মৌলের  সংখ্যা  32 টি । সিজিয়াম (Cs) থেকে   রেডন (Rn)
7) সপ্তম পর্যায় : এটি  অসম্পূর্ণ  পর্যায় ।
প্রথম পর্যায়কে অতি হস্র পর্যায় বলে , কারণ  এই  পর্যায়ে  মাত্র  দুটি  মৌল আছে । দ্বিতীয়  ও তৃতীয়  পর্যায়কে হস্র পর্যায় বলে  কারণ  এখানে  8 টি  মৌল  বর্তমান । চতুর্থ  ও পঞ্চম  পর্যায়কে  দীর্ঘ পর্যায় বলে । এই পর্যায় গুলিতে মৌল আছে  18 টি  করে । ষষ্ট পর্যায়কে অতি দীর্ঘ পর্যায় বলে । এই পর্যায়ে  মৌল  আছে   ৩২ টি ।
দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে কোনো নিৰ্দিষ্ট মৌল থেকে  আরম্ভ করে অষ্টম মৌলে  ধর্মের  পুনরাবৃত্তি ঘটে । চতুর্থ  ও পঞ্চম পর্যায়ে ধর্মের পুনরাবৃত্তি  ঘটে  প্রতি অষ্টাদশ মৌলে ।
শ্রেণির বর্ণনা :
পর্যায় সারণির উলম্ব সারিগুলিকে  শ্রেণি বলে । আধুনিক পর্যায় সারণিতে 9 টি শ্রেণি আছে । I থেকে  VIII  এবং 0 শ্রেণি । শূন্য শ্রেণিতে  নিষ্ক্রিয় মৌল গুলি  বর্তমান ।
আধুনিক দীর্ঘ পর্যায় সারণি (Modern long form of periodic table) :
1926 সালে  বিজ্ঞানী  বোর  পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাসের উপর  নির্ভর একটি বড় আকারের পর্যায়  সারণি  তৈরি করেন । এই সারানিকে  দীর্ঘ  পর্যায় সারণি  বা  বোরের  পর্যায়  সারণি নামে পরিচিত ।
পর্যায়ের(Periods) বিবরণ : দীর্ঘ  পর্যায় সারণিতে  পর্যায় সংখ্যা  7 টি । 1,2,3,4,5,6,7 সংখ্যা  দ্বারা  লেখা  হয় । এক একটি  পর্যায় সংখ্যা মৌলের  পরমাণুর  কক্ষপথ নিৰ্দেশ  করে । কোনো নিৰ্দিষ্ট পর্যায়ে  মৌলগুলির  ইলেকট্রন  বিন্যাস বিভিন্ন  হওয়ায় ওদের রাসায়নিক ধৰ্ম  ভিন্ন  হয় ।
  atoms and the periodic table

শ্রেণির বর্ণনা ( Group description) :
দীর্ঘ পর্যায়  সারণিতে  18 টি  শ্রেণিতে  মৌল  গুলিকে  রাখা  হয়েছে । 1 থেকে  18 সংখ্যা  দ্বারা  প্রকাশিত । একটি নিৰ্দিষ্ট শ্রেণিতে মৌলগুলির  সর্ব বহিঃস্থ কক্ষে সমান  সংখ্যক ইলেকট্রন  থাকায়  ওই শ্রেণির  সব  মৌলের  যোজ্যতা  ও রাসায়নিক ধৰ্ম  একই হয় ।
 Lewis Dot Diagrams of the Elements
উপরের টেবিল থেকে  বোঝা  যায়  যে  একই  শ্রেণিতে অবস্থিত মৌলগুলির  সর্ব বহিঃস্থ কক্ষে  সমান  সংখ্যাক  ইলেকট্রন  আছে । যেমন  3  নং  শ্রেণিতে B ও  Al এর  বাহিরের  কক্ষে  3 টি  ইলেকট্রন  আছে ।
পর্যায় সারণিতে  হাইড্রোজেনের অবস্থান :
হাইড্রোজেনের  অবস্থান  বিতর্কমূলক । কারণ  হাইড্রোজেনের  সঙ্গে  IA(1) এবং  VIIB(17) শ্রেণির  মৌলের ধর্মের  সাদৃশ্য  আছে । সুতরাং হাইড্রোজেনকে  উভয়  শ্রেণিতে  স্থান  দেওয়া  যেতে  পারে ।
ক্ষার ধাতুর  সঙ্গে  সাদৃশ্য :
 ক্ষারধাতু ( Li,Na,K ইত্যাদি ) গুলির মতো হাইড্রোজেনের  যোজ্যতা  1 হয় । হাইড্রোজেন  ক্ষার ধাতুর  মতো  তড়িৎ ধনাত্মক  মৌল । ক্ষার ধাতুর  মতো হাইড্রোজেন ধনাত্মক আয়ন (H ⁺) গঠন  করে । ইহা ক্ষার ধাতুর  মতো  অক্সাইড ( H₂O ) উৎপন্ন  করে ।
ক্ষার ধাতুর মতো হাইড্রোজেন  বিজারক  পদার্থ । সুতরাং  হাইড্রোজেনকে  IA শ্রেণিতে  রাখা  যায় ।
হ্যালোজেন মৌলগুলির  সঙ্গে  সাদৃশ্য :
VIIB শ্রেণির হ্যালোজেন মৌলগুলির মতো  হাইড্রোজেনের অনু  দ্বিপরমাণুক  অর্থাৎ  একটি  অণুতে  দুটি  পরমাণু  থাকে । ফ্লুরিন  ও  ক্লোরিনের  মতো  হাইড্রোজেনও  গ্যাস  এবং  অধাতু । হ্যালোজেন ( VIIB এর  মৌল ) মৌল গুলি ধাতুর সঙ্গে যুক্ত  হলে  হ্যালাইড উৎপন্ন করে । একই রকম ভাবে  হাইড্রোজেনও ধাতুর সঙ্গে  যুক্ত  হয়ে হাইড্রাইড ( NaH,CaH₂)  গঠন  করে । সুতরাং হাইড্রোজেনকে  VIIB শ্রেনিতে  স্থান দেওয়া যায় ।
ক্ষার ধাতু Alkali metal):
IA বা 1 নং  শ্রেণির  মৌলগুলিকে  ক্ষার ধাতু বলে । মৌলগুলি  হলো  - লিথিয়াম (Li),সোডিয়াম (Na ), পটাসিয়াম (Ka ),রুবুবিয়াম (Rb ), সিজিয়াম (Cs ) এবং  ফ্রানসিয়াম (Fr ) । এই ধাতুগুলি তীব্র তড়িৎ ধনাত্বকধর্মী , এদের অক্সাইড তীব্র ক্ষারীয় । যোজ্যতা  এক  হয় ।
                            Elements of s-block, Properties of the first group elements 1A ...
ক্ষারীয়  মৃত্তিকা  ধাতু (Alkaline earth metals):
পর্যায় সারণির 2 নং পর্যায় (IIA )এ  অবস্থিত মৌলগুলিকে  ক্ষারীয় মৃত্তিকা  মৌল  বলে ।এই পরমাণু গুলির  সর্ব বহিঃস্থ কক্ষে 2 টি ইলেকট্রন  আছে । ধাতুগুলি তড়িৎ ধনাত্মক ধর্মী । এদের অক্সাইড ক্ষারীয় ।
    Notes On Alkaline Earth Metals: General Characteristics And ...
রেডিয়াম তেজস্ক্রিয় মৌল ।
হ্যালোজেন :
পর্যায় সারণির  17 নং  শ্রেণি  বা  VIIB শ্রেণিতে  অবস্থিত  মৌল গুলিকে  হ্যালোজেন  বলে । মৌলগুলির সর্ব বহিঃস্থ  কক্ষে 7 ইলেকট্রন থাকে । যোজ্যতা(হাইড্রোজেন ভিত্তিক )  1 হয় । এগুলি  জারক পদার্থ  ।
Illustrated Glossary of Organic Chemistry - Halogen
 মৌল গুলির  নাম  হল  - ফ্লোরিন(F) ,ক্লোরিন (Cl) ,ব্রোমিন(Br),আয়োডিন(I) ও এস্টেটিন (astatine  ,At )
নিষ্ক্রিয় মৌল :
18 নং বা  শূন্য  শ্রেণির  মৌল  গুলিকে  নিষ্ক্রিয়  মৌল  বলে ।এরা  হল  -He, Ne,Ar,Kr,Xe, এবং  Rn | এই পরমাণু গুলির  বাহিরের কক্ষ  পূর্ণ  থাকে । হেলিয়ামের  বাহিরের  কক্ষে  2 টি  এবং  অন্যান্য  মৌলগুলির  বাহিরের  কক্ষে  8 টি ইলেকট্রন থাকে । এগুলি  রাসায়নিক  ভাবে  সম্পূর্ণ  নিষ্ক্রিয় । এদের বিরল  গ্যাসও বলা হয়  কারণ  প্রকৃতিতে খুব কম পরিমানে পাওয়া যায় ।
                    Noble Gases
  সন্ধিগত মৌল ( Transitional element) :
 
একাধিক  যোজ্যতা  সহ  কয়েকটি  বিশেষ ধর্মের  অধিকারী  মৌলগুলিকে  সন্ধিগত মৌল  বলে । চতুর্থ  পর্যায়ে  Sc(21) থেকে  Zn(30) ,পঞ্চম  পর্যয়ে Yttrium  Y (৩৯)  থেকে  Cd(48) এবং  ষষ্ট পর্যায়ে La(57),Hf(72) থেকে  Hg (80) পর্যন্ত  মৌল গুলিকে সন্ধিগত  মৌল  বলে ।
  19.1: Properties of Transition Metals and Their Compounds ...
এদের একাধিক  যোজ্যতা আছে  জটিল  যৌগ গঠন করে ।
মৌলের ধর্মের  পর্যাবৃত্ততা (Periodicity property of elements) :
পারমাণবিক ব্যাসার্ধ (Atomic Radius):

কোনো  একটি পর্যয়ে  বাম  থেকে  ডান দিকে  অগ্রসর  হলে পারমাণবিক  ব্যাসার্ধ  হ্রাস পায় । 18 নং শ্রেণির নিষ্ক্রিয়  মৌলের ব্যাসার্ধ আবার  বৃদ্ধি পায় ।
                  How does atomic radius change from left to right across a period ...
যে কোনো শ্রেণিতে  ওপর  থেকে  নিচে  নামলে  পারমাণবিক  ব্যাসার্ধ  বা  আকার  ক্রমশ  বড়  হয় ।
   What are the periodic trends for atomic radii, ionization energy ...
আয়োনীভবন বিভব (Ionisation energy or ionization potential):
যখন কোনো  বিচ্ছিন্ন পরমাণুর সর্ব বহিঃস্থ কক্ষ থেকে একটি  ইলেকট্রনকে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন করতে  অর্থাৎ পারমাণুটিকে একক  ধনাত্মক আয়ন এ  পরিণত  করতে  যে  নূন্যতম  শক্তির  প্রয়োজন  হয়  তাকে  ওই  পরমাণুর আয়োনীভবন বিভব বলে ।
পর্যায় সারণিতে  কোনো  পর্যায়ে পরমাণু  ক্রমাঙ্ক  বাড়ার সঙ্গে  সঙ্গে  আয়োনীভবন বিভব বাড়ে । একই  শ্রেণিতে  ওপর  থেকে নিচে  আয়োনীভবন বিভব হ্রাস  পায় ।
   Ionization Energy
তড়িৎ ঋণাত্মকতা (Elctronegativity) :
সম যোজি  বন্ধনে আবদ্ধ কোনো  মৌলের  পরমাণুর  ইলেকট্রন জোড়কে নিজের দিকে  আকর্ষণ  করার ক্ষমতাকে  ওই  মৌলের তড়িৎ ঋণাত্মকতা বলে ।
  Electronegativity
পর্যায় বরাবর  বাম  থেকে ডানদিকে  তড়িৎ ঋণাত্মকতা বাড়ে ।  শ্রেণি বরাবর  উপর থেকে নিচে তড়িৎ ঋণাত্মকতা কমে ।
জারণ ও বিজারণ  ধৰ্ম (Oxidizing and Reducing power):
কোনো পরমাণু ইলেকট্রন  গ্রহণের ক্ষমতা যত বেশি সেই পরমাণু তত বেশি শক্তিশালী জারক পদার্থ । আবার যে পরমাণুর ইলেক্ট্রন ত্যাগের  প্রবণতা যত বেশি সেই  পরমাণু  তত  বেশি  শক্তিশালী  বিজারক  পদার্থ ।
             Concerning Electronegativity as a Basic Elemental Property and Why ...
পর্যায় বরাবর  বামদিক  থেকে  ডানটিকে  জারণ ক্ষমতা  বাড়ে । শ্রেণি বরাবর  উপর  থেকে  নিচে জারণ  ক্ষমতা কমে । অপরপক্ষে পর্যায় বরাবর বাম  থেকে  ডানে  বিজারণ  ক্ষমতা  কমে । শ্রেণি বরাবর  উপর  থেকে  নিচে বিজারণ ক্ষমতা বাড়ে ।যেমন - দ্বিতীয় পর্যায়ে লিথিয়াম শক্তিশালী  বিজারক ,ফ্লুরিন শক্তিশালী  জারক  পদার্থ । 2 নং পর্যায়ে বিজারণ ধর্মের  ক্রম  হল  - Li > Be> B > C> O> F |  17 নং  শ্রেণির  মৌলগুলির  জারণ  ধর্মের  ক্রম  হল  F>Cl>Br> I > At
বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন (MCQ) [ নীচের Url  টি কপি করে google ব্রাউজারে পেস্ট করলে MCQ online করতে পারবে ]
             https://forms.gle/9wVUvrSW8jRFLphHA
1. নীচের  কোনটি ক্ষার ধাতু নয় ?
A) Na B) Rb  C) Ba D) Cs
2.কোন ক্ষার ধাতুর পরমাণুর আকার সবচেয়ে বড় ?
A) Li B) Na C) Rb D) Cs
3. কোণ  হ্যালোজেনটির  তড়িৎ ঋণাত্মকতা সবচেয়ে কম ?
A)  F B) Br C) Cl D) I
4. কোনটির জারণ ক্ষমতা সর্বাধিক ?
A) F B) Li C) N D) O 
5.কোণ মৌল গুলি নোবল গ্যাস?
A) গ্রুপ 2 B) গ্রুপ 14 C) গ্রুপ 16 D) গ্রুপ 18
6. কোণ হ্যালোজেন মৌলটির পরমাণুর আকার সবচেয়ে ছোটো ?
A) Cl   B) Br     C) F D) I
7.কোণ মৌলটির বিজারণ ক্ষমতা  সবচেয়ে কম ?
A) K B) Na C) Li D) Cs
8. পর্যায় সারণিতে মোট পর্যায় সংখ্যা 
A) 7 B) 8 C) 9 D) 18
9. হ্যালোজেন মৌল গুলি  কোন শ্রেণীতে অবস্থিত ?
A) শ্রেণী 1 B) শ্রেণী 17 C) শ্রেণী 16 D) শ্রেণী 12
10. মৌলের রাসায়নিক ধৰ্ম নির্ভর করে নীচের কোনটির উপর ?
A) পারমানবিক ভর B) পারমানবিক সংখ্যা  C) ভর সংখ্যা  D) নিউট্রণ সংখ্যা 


Radioactivity and atomic nucleous( তেজস্ক্রিয়তা এবং পরমানুর নিউক্লিয়াস )

পরমাণুর নিউক্লিয়াস (Atomic Nucleus):
তেজস্ক্রিয়তা ( Radioactivity)
ইউরেনিয়াম ,রেডিয়াম  ও  থোরিয়াম ইত্যাদি  কতকগুলি  ভারী মৌলের  পরমাণুর নিউক্লিয়াস  থেকে  সতস্ফুর্তভাবে  এক অদৃশ্য রশ্মি নির্গত হয়  যা  বাহিরের  তাপ ,চাপ ,উষ্নতা  ও  রাসায়নিক বিক্রিয়া  প্রভৃতি কোনো কিছুর  দ্বারা  প্রভাবিত হয়  না  তাকে তেজস্ক্রিয়তা বলে । যে মৌলগুলি  এই রশ্মি বিকিরণ করে  তাদের তেজস্ক্রিয় মৌল  বলে ।নির্গত রশ্মিকে তেজস্ক্রিয় রশ্মি(Radioactive Rays)  বলে ।
           

                                          Radioactivity - Nuclear Physics
α,β ও γ রশ্মির প্রকৃতি ( Nature of α,β  and γ  rays):
তেজস্ক্রিয় রশ্মির গতিপথে  তড়িৎক্ষেত্র  বা  চুম্বকক্ষেত্র  স্থাপন  করলে  এটি  তিনটি  রশ্মিতে বিভক্ত হয়ে  যায় । যথা
1) একটি অংশ তড়িৎ ক্ষেত্রের ঋণাত্মক  মেরুর  দিকে  হেলে  অগ্রসর  হয় । এটিকে আলফা রশ্মি (α ray) বলে ।
2) দ্বিতীয় অংশটি  তড়িৎক্ষেত্রের ধনাত্মক  মেরুর  দিকে হেলে  অগ্রসর  হয় । এটিকে বিটারশ্মি (β ray) বলে ।
3) তৃতীয় অংশটি  কোনো প্রকারে বিক্ষিপ্ত  না হয়ে  সোজা  বেরিয়ে  যায় । এই অংশটিকে গামা রশ্মি (γ ray) বলে ।
         Radioactivity
1) আলফারশ্মি (α ray): 
আলফা রশ্মি ধনাত্মক আধানযুক্ত  হিলিয়াম পরমাণু ( ₄He⁺²)| এর ভর  4 একক ( হিলিয়াম  পরমাণুর ভর )। আলফা  কণার ভর বেশী  ও  বেগ  কম  হওয়ায়  ভেদন ক্ষমতা  কম । এই রশ্মি ০.১ মিমি  অ্যালুমিনিয়াম  পাত দ্বারা শোষিত  হয় । গ্যাসীয় মাধ্যমে যাওয়ার সময় গ্যাসীয় পদার্থের পরমাণু থেকে ইলেক্ট্রন বিচ্ছিন্ন করে  গ্যাসকে আয়নিত করে । গ্যাসকে আয়নিত  করার  ক্ষমতা  আলফা কণার  সবচেয়ে  বেশী । গতিবেগ কম ( আলোর  গতিবেগের  চেয়ে কম )।
2) বিটা রশ্মি (β রশ্মি ): 
বিটা রশ্মি ঋণাত্মক আধানযুক্ত ইলেক্ট্রনের প্রবাহ ।(e₋₁)  বিটা কণার ভর  ইলেক্ট্রনের ভরের  সমান । ভর নগন্য  ও গতিবেগ উচ্চ হওয়ায় ভেদ ক্ষমতা  বেশী  হয় । এই রশ্মি  প্রায়  ৫ মিমি অ্যালুমিনিয়াম  পাত  ভেদ  করতে  পারে ।গ্যাসকে আয়নিত করার ক্ষমতা  কম ( আলফা কণার  ১০০ ভাগের  ১  ভাগ )। গতিবেগ আলোর বেগের চেয়ে  কম । আলফা রশ্মির বেগের  চেয়ে  বেশী ।
3) গাম্মারশ্মি ( γ ray) :
এটি অতি ক্ষুদ্র তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট  তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ । এটি আধান শূন্য  অর্থাৎ নিস্তড়িৎ । এর ভর  নেই । গামা রশ্মির ভেদন ক্ষমতা  সবচেয়ে বেশী ।এটি ৮ সেমি পুরু অ্যালুমিনিয়াম পাত  ভেদ  করতে  পারে । এর  গতিবেগ  সবচেয়ে বেশী  এবং  আলোর গতিবেগের  সমান ।

তেজস্ক্রিয় রশ্মির উৎস ( Origin of radioactive ray):
তেজস্ক্রিয় রশ্মির উৎস হল পরমাণুর  নিউক্লিয়াস । পরমাণুর  নিউক্লিয়াস খুব  ভারী  হলে  অর্থাৎ  প্রোটন ও নিউট্রন  সংখ্যার পার্থক্য খুব  বেশি  হলে নিউক্লিয়াস থেকে  সতঃস্ফুর্ত ভাবে α,β ও γ রশ্মি নির্গত হয় । α,β কখনই  একই  সঙ্গে নির্গত  হয় না । α,β  কণা  নির্গমনের  ফলে  নুতন  নিউক্লিয়াস  গঠিত  হয় । α বা β কণা নির্গমনের  ফলে  নিউক্লিয়াসে অতিরিক্ত  শক্তি  উৎপন্ন  হয় । এই  অতিরিক্ত শক্তি  তরঙ্গের  আকারে  গামা রশ্মি  হিসাবে  বেরিয়ে  আসে ।
α বা β কণা নির্গমনের  ফলে  নূতন  মৌল  সৃষ্টি  হয় । একটি  আলফা  কণা  নির্গমনের  ফলে  পরমাণু  ক্রমাঙ্ক  +২ একক  এবং  ভরসংখ্যা  ৪ একক  হ্রাস  পায় ।
              ₉₂U²³⁸➝ ₉₀Th ²³⁴ + ₂α⁴ 
বিটা কণা  নির্গমনের  ফলে  ভরসংখ্যার  কোনো  পরিবর্তন  হয়  না । কিন্তূ  পারমাণবিক  সংখ্যা  ১ একক  বৃদ্ধি  পায় ।
      ₉₀Th ²³⁴ ⟶ ₉₁Pa²³⁴ + β( ₋₁eº )
গামা রশ্মি নির্গমনের ফলে  ভরসংখ্যা  ও পারমানবিক সংখ্যার কোনো  পরিবর্তন  হয়  না ।
  ₉₀Th²³⁰⇢ ₉₀Th²³⁰ + ₀γ⁰
নিউক্লিও শক্তি (Nuclear Energy):
ভরবিচ্যুতি বা ভর ত্রুটি  ( Mass defect) : নিউক্লিয়াসের  স্থির  ভর(M )  নিউক্লিয়াসে  উপস্থিত প্রোটন ও  নিউট্রিনগুলির  মোট  ভরের  থেকে  কম  হয় ।ভরের  এই  হ্রাস  বা  ত্রুটিকে  ভরত্রুটি (Δm) বলে ।
ধরা যাক , কোনো  মৌলের  পারমাণবিক  সংখ্যা  Z , ভরসংখ্যা  A
∴ প্রোটন সংখ্যা  = Z , নিউট্রন  সংখ্যা  = A - Z
যদি  একটি  প্রোটনের  ভর  mр  এবং  একটি  নিউট্রনের  ভর  mη  হয়  তাহলে পারমাণুটির  ভর  = Z mр + (A - Z)mη ,পরমাণুটির  প্রকৃত ভর ( পরীক্ষালন্ধ ভর ) M  হলে
ভরবিচ্যুতি ( Δm) = [ Z mр + (A - Z) mη] - M
নিউক্লিয় বন্ধন শক্তি ( Nuclear binding energy):
নিউক্লিয়াসে প্রোটন  ও  নিউট্রনগুলির  ভর হ্রাসের  ফলে  উদ্ভুত  যে  বিশেষ  শক্তির  দ্বারা  নিউক্লিয়নগুলিকে  একসঙ্গে  ঠাসাঠাসি ভাবে  আবদ্ধ রাখে  তাকে নিউক্লিয় বন্ধন শক্তি  বলে । ভরহ্রাস  Δm হলে  বন্ধনশক্তি  হবে
ΔE = Δm c² |
    Nuclear Binding Energy - Definition, Formula, Explanation অন্যভাবে বলা  যায় নিউক্লিয়াসকে ভেঙে ওর   নিউক্লিয়ন গুলিকে  পরস্পর  থেকে  বিছিন্ন  করে  স্বাধীন  কণা  হিসাবে  অলাদা করতে  যে  শক্তির  প্রয়োজন  হয়  তাকে  বন্ধন শক্তি বলে ।
নিউক্লিয় বিভাজন (Nuclear fission) :
যে বিভাজনে কোনো  ভারী  নিউক্লিয়াস  বিভাজিত  হয়ে মোটামুটি  দুটি  কাছাকাছি ভরের নিউক্লিয়াস  উৎপন্ন  হয়  এবং তারসঙ্গে কয়েকটি নিউট্রন কণিকা  এবং  প্রচুর পরিমানে শক্তি  নির্গত হয় তাকে  নিউক্লিয় বিভাজন বলে ।
                        Scientific Workshop on Nuclear Fission Dynamics and the Emission ...
 ₉₂U²³⁵ কে নিউট্রন কণিকা  ( ₀n¹ ) দ্বারা আঘাত  করলে  প্রায়  দুটি  সম ভরের নিউক্লিয়াস  ও  তিনটি  উচ্চ   শক্তি সম্পন্ন  নিউট্রন  ও প্রচুর  শক্তি  উৎপন্ন  হয় । নিচের  সমীকরণের  সাহায্যে  দেখানো  হল ।
   ₉₂U²³⁵ + ₀n¹ ⟶ ₉₂U²³⁶⟶ ₅₆Ba¹⁴¹ + ₃₆Kr⁹² + 3₀n¹  +শক্তি
এখানে শক্তির  উৎস  হল  ভরত্রুটি(mass defect), উৎপন্ন নিউক্লিয়াস গুলির  (₅₆Ba¹⁴¹ ,₃₆Kr⁹² ) ভর  ও তিনটি নিউট্রনের ভরের সমষ্টি টার্গেট নিউক্লিয়াস  (₉₂U²³⁵)ও  আঘাতকারী  কণা (নিউট্রন) এর মোট ভরের  থেকে  কম  হয় ।এই  ভর পার্থক্য  শক্তিতে  রূপান্তরিত  হয় ।
নিউক্লিও সংযোজন (Nuclear fusion) :
                               Forging a role in low-end nuclear fusion
যখন অতি উচ্চ তাপমাত্রায় দুটি  হালকা  নিউক্লিয়াস  একত্রে যুক্ত  হয়ে  একটি  ভারী নিউক্লিয়াস  গঠন  করে  এবং  প্রচুর পরিমান শক্তি উৎপন্ন করে সেই নিউক্লিও বিক্রিয়াকে নিউক্লিও সংযোজন  বিক্রিয়া  বলে । এখানে শক্তি নির্গমনের কারণ হল ভারী নিউক্লিয়াসটির  ভর হালকা নিউক্লিয়াস দুটির মোট ভরের থেকে সামান্য  কম  হয় । এই ভর পার্থক্য আইনস্টাইনের  E = m c² সমীকরণ   অনুযায়ী  শক্তিতে  রূপান্তরিত  হয় ।
ইহা নিউক্লিও বিভাজনের  বিপরীত  বিক্রিয়া । এই ধরনের  বিক্রিয়া  নক্ষত্রের  অভ্যন্তরে  ঘটে  কারণ  ইহা  ঘটার জন্য  অতি  উচ্চ  তাপমাত্রা  আবশ্যক ।
চিত্রের নিউক্লিও সংযোজন  বিক্রিয়াটি  নিম্নলিখিত  ভাবে  লেখা  যায় -
 ₁H³ + ₁H² ⟶ ₂He⁴ + ₀n¹  +শক্তি
নিউক্লিও বিভাজনের  ব্যবহারিক  প্রয়োগ :
এই নীতির সাহায্যে  পরমাণু  বোমা  তৈরি করা  যায় । বিভাজন  বিক্রিয়াকে  নিয়ন্ত্রিত  করে  পরমাণু  চুল্লি  তৈরী করা হয় । এই পরমাণু  চুল্লি  থেকে  বিদ্যুৎউৎপাদন   করা  যায় ।
তেজস্ক্রিয়তার ব্যবহার :
চিকিৎসা বিজ্ঞানে - ক্যান্সার রোগের চিকিৎসায় ক্যান্সার আক্রান্ত কোষ গুলিকে  নষ্ট  করার কাজে তেজষ্ক্রিয় রেডিয়াম ,কোবল্ট ( ⁶ºCo) ব্যবহার হয় ।
পৃথিবীর বয়স নির্ণয় -কোনো স্থানে প্রাপ্ত ইউরেনিয়াম  আকরিক থেকে সিসার আইসোটোপে পাওয়া যায় । ইউরেনিয়াম ও  সিসার  অনুপাত  থেকে  পৃথিবীর  বয়স  নির্ণয়  করা যায় ।
জীবাশ্মের বয়স নির্ণয় -কোনো জীবাশ্ম বা  পুৰাতাত্বিক বস্তুর মধ্যে  তেজস্ক্রিয় C¹⁴ ও C¹² অনুপাত নির্ণয় করে  নমুনাটির বয়স নির্ণয় করা যায় ।

বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন (MCQ) :মোবাইল ফোনে  উত্তর দেওয়ার জন্য নীচের লিংক টি কপি করে গুগল ব্রাউজারে পেস্ট করে কুইজের পেজ টি  ওপেন করতে হবে । লিংক টি হল :
  https://forms.gle/RFTVhu3BHfASLRNz5
1. নীচের কোনটি α ,β,૪ রশ্মির  আয়নন ক্ষমতার  সঠিক ক্রম ?
A)  α >β,>૪ B) α > ៵>β  C) ૪ > β>α D) β > α >૪
2. কোন রশ্মির ভেদন ক্ষমতা  সবচেয়ে  বেশি ?
A) ૪ B) α C) β D) আলো 
3.তেজস্ক্রিয়  পরমাণু  থেকে β কণা  নিঃসরণের ফলে  উৎপন্ন পরমাণুর 
A) ভর সংখ্যা বাড়ে B) পারমানবিক সংখ্যা বাড়ে C) ভর সংখ্যা কমে  D) পারমানবিক সংখ্যা কমে 
4.একটি তেজস্ক্রিয় মৌল হল 
A) লেড  B) রেডন  C) আর্গন D ) বেরিয়াম 
5.ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় 
A) তেজস্ক্রিয় কোবাল্ট  B) তেজস্ক্রিয় সোডিয়াম  C) ইউরেনিয়াম  D) পোলোনিয়াম 
6. তেজস্ক্রিয় মৌল থেকে নির্গত β রশ্মি হল 
A) ইলেকট্রন স্রোত  B) প্রোটন স্রোত  C) নিউট্রন স্রোত  D) তড়িৎ চুম্বকীয়  তরঙ্গ 
7. কোনটি তেজস্ক্রিয় ?
A) C¹² B) C¹⁴ C) O¹⁶ D) Na²³
8. শুন্য স্থানে ៵ রশ্মির  বেগ 
A) 2 x 10⁸ m/s B) 3 x 10⁸ m/s C) 1.5 x 10⁸ m/s D) 2.5 x 10⁸ m/s 
9.কোনো জীবাশ্মের বয়স নির্ণয়ে ব্যবহৃত হয় 
A) Co⁶⁰ B) I¹³¹ C) P³² D) C¹⁴
10.সূর্যের শক্তির মূল উৎস হল 
A) নিউক্লিও সংযোজন  ও নিউক্লিও বিয়োজন  B) নিউক্লিও বিভাজন  C) নিউক্লিও সংযোজন  D) কোনোটাই  নয় 

11. একটি  ইলেকট্রনের ভর  m হলে  ,β কনার ভর  
A) m  B) 2m C) 3m D) 4m 

Light( আলো)

                                                                  আলো (Light)
গোলীয় দর্পনে আলোর প্রতিফলন (Reflection at Spherical Mirror):
সমতল দর্পনে সমান্তরাল আলোক রশ্মি গুচ্ছ আপতিত হলে সমান্তরাল আলোক রশ্মি গুচ্ছ হিসাবেই  প্রতিফলিতা হয় । কিন্তু গোলীয় দর্পনে সমান্তরাল আলোকরশ্মি গুচ্ছ প্রতিফলিত হলে  অভিসারী বা অপসারী  আলোকরশ্মি গুচ্ছে পরিণত  হয় । যে দর্পন কোনো  গোলকের  তলের অংশ বিশেষ হয়  তাকে  গোলীয়  দর্পন  বলে ।
গোলীয় দর্পন দুই প্রকারের  হয় - 1)  অবতল  দর্পন(Concave Mirror)  2)  উত্তল দর্পন (Convex Mirror) 
                                 a) Define the following terms in the context of spherical mirrors ...
অবতল দর্পন (Concave Mirror) :
যে গোলীয় দর্পনের  অবতল  পৃষ্ট  প্রতিফলক  হিসাবে  বাবহৃত  হয়  তাকে অবতল দর্পন  বলে ।
উত্তল দর্পন ( Convex Mirror) :
যে গোলীয় দর্পনের উত্তল পৃষ্টে আলোর প্রতিফলন ঘটে  তাকে  উত্তল দর্পন বলে ।
গোলীয় দর্পনের  বক্রতা কেন্দ্র , বক্রতা ব্যাসার্ধ , মেরু  ও  প্রধান অক্ষ ,ফোকাস দর্ঘ্য :
বক্রতাকেন্দ্র ( Centre of Curvature) :
কোনো  গোলীয়  দর্পন  যে  গোলকের  অংশ  সেই  গোলকের  কেন্দ্রকে  ওই  দর্পনের  বক্রতা  কেন্দ্র  বলে ।
বক্রতাব্যাসার্ধ (Radius of Curvature) :
গোলীয় দর্পন  যে  গোলকের  অংশ  তার  ব্যাসার্ধকেই  ওই  গোলীয়  দর্পনের  বক্রতা  ব্যাসার্ধ  বলে ।
মেরু (Pole) :
কোনো গোলীয় দর্পনের  মধ্য বিন্দুকে  দার্পনটির  মেরু  বলে ।
প্রধান অক্ষ ( Principal Axis):
গোলীয় দর্পনের  বক্রতা কেন্দ্র  ও  মেরুর  সংযোজক  সরলরেখাকে  প্রধান অক্ষ  বলে ।
ফোকাস দৈঘ্র্য    ( Focal Length):
মেরু এবং মুখ্য ফোকাসের মধ্যবর্তী দূরত্বকে  ফোকাস দৈর্ঘ্য বলে ।
মুখ্যফোকাস (Principal Focus):
প্রধান  অক্ষের সমান্তরাল  এক গুচ্ছ  সমান্তরাল আলোকরশ্মি  অবতল  দর্পনে  প্রতিফলিত  হয়ে প্রধান অক্ষের উপর  যে বিন্দুতে  মিলিত হয়  সেই বিন্দুকে অবতল দর্পনের মুখ্য  ফোকাস বলে ।
                                 FOCAL LENGTH OF SPHERICAL MIRRORS
অনুরূপ ভাবে  বলা যায়  প্রধান অক্ষের সমান্তরাল আলোকরশ্মি গুচ্ছ উত্তল দর্পনে  প্রতিফলিত  হয়ে প্রধান অক্ষের যে বিন্দু  থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে  মনে  হয়  সেই  বিন্দুটিকে উত্তল দর্পনটির মুখ্য  ফোকাস  বলে ।
                                   What is principal focus of spherical mirrors - Brainly.in
উপাক্ষিয় রশ্মির ধারণা  ও  ঊপাখিয় রশ্মির ক্ষেত্রে  r = 2f  প্রদর্শন :
              sir how to prove r 2f and mirror formalae ie 1 f 1 u 1 v in ...  sir how to prove r 2f and mirror formalae ie 1 f 1 u 1 v in ...
দর্পনের প্রধান অক্ষের নিকটবর্তী আপতিত আলোকরশ্মিকে বলা হয় উপক্ষিয়(Paraxial Rays) রশ্মি । একটি প্রধান অক্ষের সমান্তরাল   উপাখিয় রশ্মি AB  প্রতিফলনের পর  মুখ্য ফোকাস  F এর  মধ্য দিয়ে  যাবে ।B বিন্দুতে দর্পনের উপর অঙ্কিত লম্ব BC বক্রতা কেন্দ্র C বিন্দু দিয়ে যাবে । চিত্র থেকে  পাই - আপতন কোন < ABC  = i এবং প্রতিফলন কোন <CBF = r .
প্রতিফলনের সুত্রানুযায়ী , ∠ ABC = ∠ CBF   এবং  ∠ ABC = ∠ BCF  = θ (একান্তর কোন )
∴ r =  θ  অর্থাৎ ΔABC একটি  সমবাহু  ত্রিভুজ  যার BF = CF | উপক্ষিয় রশ্মির ক্ষেত্রে  B  এবং P খুব  নিকটবর্তী  হওয়ায় PF = BF অর্থাৎ  F হলো  CP এর মধ্য বিন্দু ।
∴ PF = f = 1/2 CP = 1/2 r ( BC = CP =r)
r = 2f  
গোলীয় দর্পনে আলোর প্রতিফলনের জন্য  প্রতিবিম্ব গঠন :
গোলীয় দর্পনে প্রতিবিম্ব গঠনের  নিয়ম : 1 )প্রধান অক্ষের সমান্তরাল আলোক রশ্মি  প্রতিফলনের  পর মুখ্য ফোকাস দিয়ে যায় । 2) কোনো আপতিত আলোকরশ্মি মুখ্য ফোকাস দিয়ে গিয়ে প্রতিফলনের  পর  প্রধান অক্ষের সমান্তরাল  হয়ে  যায় । 3) বক্রতা কেন্দ্রের মধ্য দিয়ে গমনশীল আলোক রশ্মি  লম্ব ভাবে দর্পনে  আপতিত  হয়  , ফলে প্রতিফলনের পর একই পথে বিপরীত  দিকে ফিরে যায় । উপরের তিনটি নিয়মের যেকোনো দুটির সাহায্যে আমরা প্রতিবিম্ব গঠন  করতে পারি ।
                                     FORMATION OF IMAGES BY A CONCAVE MIRROR
       অবতল দর্পনে প্রতিবিম্ব  গঠনের নিয়ম :
প্রধান অক্ষের সমান্তরাল আলোকরশ্মি AD প্রতিফলিত  হয়ে  ফোকাস  F এর  মধ্য দিয়ে  গমন করে । A বিন্দু  আগত আর একটি আলোক রশ্মি AE বক্রতা কেন্দ্র  C দিয়ে  গমন করে প্রতিফলিত  হয়ে  ওই  একই  পথে  বিপরীত  দিকে  অগ্রসর হয় । এই  দুই আলোকরশ্মি  প্রতিফলনের পরে  A ' বিন্দুতে  মিলিত  হয় । A'  বিন্দুই  হল  A  বিন্দুর  সৎবিম্ব ।
অবতল দর্পনে যদি বস্তু  ফোকাস দূরত্বের বাইরে থাকে  তাহলে  বস্তুর  একটি  সৎবিম্ব   গঠিত  হয় । আর যদি  বস্তু  ফোকাস দূরত্বের  মধ্যে  অবস্থান  করে  তাহলে  বস্তুটির  একটি  অসৎবিম্ব    গঠিত  হয় ।
উত্তল দর্পনে প্রতিবিম্ব  গঠন : 
                            Image Formation by Convex Mirrors
উত্তল দর্পনে সবসময় খর্বাকৃতি অসৎপ্রতিবিম্ব  গঠিত হয় ।
আলোর প্রতিসরণ ( Refraction of Light) :
আলোকরশ্মি যখন  এক সমসত্ত্ব সচ্ছ  মাধ্যম  থেকে অন্য একটি  সচ্ছ সমসত্ম মাধ্যমে তীর্যক ভাবে প্রবেশ করে  তখন দুই মাধ্যমের বিভেদতলে  আলোকরশ্মি অভিমুখ পরিবর্তন করে । এই ঘটনাকে আলোকের প্রতিসরণ  বলে ।
                                              What is Refraction of Light? - Definition, Refractive Index ...
প্রতিসরণের সূত্রাবলি ( laws of Refraction):
প্রথম সূত্র : আপতিত রশ্মি , প্রতিসৃত রশ্মি  ও আপতন  বিন্দুতে  দুই মাধ্যমের বিভেদ  তলের উপর অঙ্কিত অভিলম্ব  একই সমতলে থাকে ।
দ্বিতীয় সূত্র : দুটি নিৰ্দিষ্ট মাধ্যমের বিভেদতলে  একটি নিৰ্দিষ্ট বর্ণের আলোর  প্রতিসরণ  হলে  আপতন কোনের সাইন ও প্রতিসরণ  কোনের  সাইন এর  অনুপাত  সর্বদা ধ্রুবক  থাকে ।
   
                              
দ্বিতীয় সূত্র  অনুসারে  পাই ,
sin θi / sin θr = n₁/n₂  = ধ্রুবক  = ₁n₂; n₁ হল  প্রথম  মাধ্যমের  পরম প্রতিসরাঙ্ক  n₂  হল  দ্বিতীয়  মাধ্যমের  পরম  প্রতিসরাঙ্ক ।₁n₂ হল প্রথম মাধ্যমের  সাপেক্ষে  দ্বিতীয়  মাধ্যমের  প্রতিসরাঙ্ক ।উপরের সূত্রটিকে  স্নেলের সূত্র  বলে ।
প্রতিসরাক তলের সঙ্গে লম্বভাবে আলোকরশ্মির আপতনের ক্ষেত্রে  স্নেলের সূত্রটি(sin θi / sin θr = n₁/n₂  = ধ্রুবক  = ₁n₂ )   প্রযোজ্য নয় ।
প্রতিসরণের ফলে আলোকরশ্মির চ্যুতি :
প্রতিসরণের সময় আলোকরশ্মি  যে কোনে  বেঁকে যায় তাকে  চ্যুতি  বলে ।
লঘু থেকে ঘন মাধ্যমে  প্রতিসরণের  সময়  চ্যুতি :
স্নেলের সূত্র  থেকে  পাই  n2 >  n1
অর্থাৎ sin θi / sin θr > 1 ⇒sin θi > sin θr
∴ θi >  θr হয় ।
প্রতিসৃত রশ্মিটি  অভিলম্বের  দিকে  সরে যায় ।  এক্ষেত্রে  চ্যুতি  হয়   (θi  - θr) ।
            Deviation due to Refraction চিত্রে  চ্যুতি  d = i - r
ঘন মাধ্যম থেকে লঘু  মাধ্যামে  প্রতিসরণের  সময়  চ্যুতি :

                  If a source of white light transmits its rays from denser to a ...
এক্ষেত্রে  চ্যুতি  d = r - i
প্রিজম (Prism):
তিনটি আয়তাকার তল ও  দুটি ত্রিভুজাকার  তল  দ্বারা  সীমাবদ্ধ  সচ্ছ প্রতিসারক  মাধ্যমকে  প্রিজম  বলে ।
প্রতিসরাক তল :
যে  আয়তাকার তলগুলিতে   আলো আপতিত হলে  আলোর প্রতিসরণ হয় সেই তলগুলিকে  প্রতিসারক  তল  বলে । প্রিজমে আয়তাকার তলগুলি প্রতিসারক হয় ।
প্রতিসারক কোন :
দুটি প্রতিসারক তল মিলিত  হয়ে কোণ উৎপন্ন হয়  তাকে  পপ্রিজমের প্রতিসারক কোন  বলে ।

                                mLabs Equilateral Prism 50mm Solid Prism Price in India - Buy ...
প্রান্ত রেখা :
প্রিজমের দুটি প্রতিসারক তল যে রেখায় মিলিত  হয়  তাকে  প্রান্ত রেখা  বলে ।
ভূমি :
প্রিজমের যে কোনো প্রান্তরেখার বিপরীত তলকে ভূমি  বলে ।
প্রধান ছেদ : যে  তল  প্রিজমের  প্রতিসারক  তলকে  লম্ব ভাবে  ছেদ  করে  তাকে  প্রাধান ছেদ  বলে ।
প্রিজমের মধ্য দিয়ে প্রতিসৃত  রশ্মির  চ্যুতি কোন :
                            Derive the expression for refractive index of the toppr.com
ধরা যাক  ABC হল  প্রিজমের  একটি  প্রধান  ছেদ । A হল  প্রিজম  কোন ।প্রিজমটির উপাদানের  প্রতিসরাঙ্ক  μ ।
AB প্রতিসরাক  তলে  আপতিত  রশ্মির  আপতন  কোন  i1  এবং  প্রতিসরণ  কোন  r1 |অনুরূপভাবে  AC প্রতিসরাক তলে  আপতন কোন  r2 এবং  প্রতিসরণ কোন ( নির্গমন  কোন) i2 | আপতিত ও নির্গমন  রশ্মির  মধ্যে  চ্যুতি কোন∠ LMQ = δ । চিত্র  থেকে  পাই  ∠ MPQ = (i1 - r1 ) এবং  ∠MQP = (i2 -r2 ) |
ஃ চ্যুতি কোন  δ = ∠ MPQ +  ∠MQP = (i1 - r1 ) +(i2 -r2 )  = (i1 + i2 ) -(r1 +r2)
APNQ চতুর্ভূজ  থেকে  পাওয়া  যায়
∠A + ∠N = 180 ডিগ্রী ।( ∠APN = ∠ AQN = 90 ডিগ্রী ।)
আবার  PQN ত্রিভুজ  থেকে  পাই  ∠ N + r1 +r2 = 180  ডিগ্রী ।
⇒ r1 +r2  = A
ஃ δ = i₁ +i₂-(r₁ +r₂) = i₁ +i₂ - A
δ = i₁ +i₂ - A  
কাঁচের স্ল্যাবের  মধ্য  দিয়ে  আলোর  প্রতিসরণ :
সমান্তরাল পৃষ্ঠযুক্ত একটি কাঁচের ফলকের  মধ্য  দিয়ে  আলোর  প্রতিসরণের  সময়  আলোকরশ্মির কোনো  কৌণিক চ্যুতি হয়  না ।
               Discuss the refraction through a rectangular glass slab and show ...
উপরের  চিত্রে AB আপতিত রশ্মি BC প্রতিসৃত রশ্মি  C বিন্দুতে  পুনরায়  প্রতিসৃত  হয়ে  CD পথে বহির্গত  হয় ।
A বিন্দুতে প্রতিসরণের  বেলাই  লেখা  যায় ,
Sini₁ /Sinr₁= μ ( μ কাঁচের  প্রতিসরাঙ্ক ) অনুরূপে C বিন্দুতে  প্রতিসরণের  ক্ষেত্রে  লেখা  যায়  ,
Sin i₂/ Sinr₂ = 1/μ
এখানে r₁ = i₂ ( B ও  C  বিন্দুতে  অভিলম্ব  দুইটি  সমান্তরাল ।)
∴ sini₁ /sinr₁  = Sinr₂ / Sini₂
⇒ Sin i₁ = Sinr₂
∴ i₁ = r₂  আপতিত রশ্মি  ও  নির্গত রশ্মি  পরস্পর  সমান্তরাল ।
লেন্স (Lens):
দুটি গোলীয় তল  বা  একটি গোলীয় ও  একটি  সমতল  দ্বারা সীমাবদ্ধ  সচ্ছ প্রতিসরাক  মাধ্যমকে লেন্স বলে ।
লেন্স প্রধানত দুই  প্রকারের হয় । উত্তল লেন্স  ও অবতল  লেন্স ।
উত্তল লেন্স (Convex lens):
যে লেন্সের মধ্যভাগ  মোটা  ও প্রান্তের  দুই  দিক  ক্রমশ  সরু সেই  লেন্সকে  উত্তল লেন্স বা অভিসারী লেন্স   বলে ।
অবতল লেন্স (Concave lens) :
যে লেন্সের মধ্য ভাগ  সরু  প্রান্তের  দুই  ক্রমশ  মোটা  তাকে অপসারী  বা  অবতল লেন্স  বলে ।

                             लेंस - परिभाषा और प्रकार, उत्तल और ...
লেন্স সম্পর্কিত কয়কেটি সংজ্ঞা (Some definitions about lens):
বক্রতা কেন্দ্র ( Centre of Curvature) : লেন্সের কোনো গোলীয়  তল যে  গোলকের  অংশ সেই গোলকের  কেন্দ্রকে ওই প্রতিসরাক  তলের বক্রতা কেন্দ্র  বলে ।দুটি গোলীয়  তল বিশিষ্ট লেন্সের  দুটি  বক্রতা  কেন্দ্র  থাকে ।
বক্রতা ব্যাসার্ধ (Radius of Curvature):
লেন্সের কোনো  গোলীয়  তল  যে  গোলকের  অংশ  সেই  গোলকের  ব্যাসার্ধকে ওই  তলের  বক্রতা  ব্যাসার্ধ  বলে ।
প্রধান অক্ষ (Principal axis):
লেন্সের দুটি  বক্রতা কেন্দ্রের সংযোজক সরলরেখাকে  লেন্সটির  প্রধান  অক্ষ  বলে ।
উন্মেষ (Aperture): লেন্সের  ব্যাসকে  উন্মেষ  বলে ।
                              Definition : Aperture of a spherical lens - YouTube
সরু বা পাতলা লেন্স (Thin lens):
লেন্সের প্রধান অক্ষ লেন্সটির দুটি  গোলীয় তলকে  যে দুটি বিন্দুতে ছেদ করে সেই দুটি বিন্দুর  দুরত্ব কে ওই লেন্সের বেধ (Thickness ) বলে । যে লেন্সের  বেধ তার বক্রতা ব্যাসার্ধ  অপেক্ষা  খুব  ছোটো সেই  লেন্সকে  পাতলা  লেন্স  বলে ।
আলোককেন্দ্র (Optical centre):
আলোককেন্দ্র হল লেন্সের  অভ্যন্তরে প্রধানক্ষের উপরে এমন একটি বিন্দু যে বিন্দুর মধ্যে দিয়ে কোনো আলোকরশ্মি  গমন করলে ওর কোনো  অভিমুখের পরিবর্তন হয় না । অর্থাৎ নির্গত রশ্মি  আপতিত  রশ্মির সমান্তরাল হয় ।
     Contact lenses and diving -Questions Welcome - by Idocsteve | Page ... Refraction of light by Spherical Lenses
ফোকাস ,ফোকাস দূরত্ব (Focus, Focul length):
উত্তল লেন্সের  ক্ষেত্রে প্রধান অক্ষের সমান্তরাল আলোকরশ্মি  গুচ্ছ  লেন্সের  দ্বারা  প্রতিসৃত  হয়ে  প্রাধান অক্ষের উপর যে বিন্দুতে মিলিত হয়  অথবা অবতল লেন্সের ক্ষেত্রে যে বিন্দু থেকে অপসৃত  হচ্ছে বলে মনে  হয়  ,সেই বিন্দুকে  লেন্সটির প্রধান বা মুখ্য ফোকাস  বলে ।।What is the principal focus of a convex lens? - Quora Q & A: The Principal Focus | Department of Physics | University of ...
লেন্সের আলোককেন্দ্র থেকে  প্রধান ফোকাস পর্যন্ত দূরত্বকে ফোকাস দুরত্ব বলে । একে  চিহ্ন দ্বারা  প্রকাশ করা  হয় ।
উত্তল লেন্সকে অভিসারী লেন্স  বলা হয় কারণ প্রধান অক্ষের সমান্তরাল আলোকরশ্মি উত্তল কর্তৃক প্রতিসৃত হয়ে অভিসারী আলোকরশ্মি গুছে পরিণত হয় ।অন্যদিকে অবতল লেন্সকে অপসারী লেন্স   বলে  কারণ এতে প্রধান অক্ষের সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছ প্রতিসৃত হয়ে অপসারী অলোকরশ্মি গুচ্ছে পরিণত  হয় ।
উত্তল লেন্স দ্বারা প্রতিবিম্ব গঠন (Formation of image by convex lens):
উত্তল লেন্সের  ক্ষেত্রে প্রতিবিম্ব  গঠনের সময়  নিম্নলিখিত  ধর্মগুলি  কাজে  লাগানো  হয় -
1) প্রধান অক্ষের  উপর  লম্বভাবে  অবস্থিত বস্তুর  প্রতিবিম্বও  প্রধান  অক্ষের  উপর  লম্ব  হয় ।
2) যে রশ্মি গুলি প্রধান অক্ষের প্রধান অক্ষের সমান্তরাল  ভাবে  আপতিত  হয়  সেই রশ্মিগুলি প্রতিসরণের  পর প্রধান ফোকাস  দিয়ে  গমন  করে ।
3) যে রশ্মিগুলি আলোককেন্দ্র দিয়ে  যায় সেগুলির  কোনো অভিমুখের পরিবর্তন  হয়  না ।
রশ্মিচিত্র গঠন (Construction of ray diagram) :
1. বস্তু যখন অসীম  দূরত্বে অবস্থিত :
বস্তু অসীম দূরত্বে থাকলে প্রতিবিম্ব ফোকাস  তলে  গঠিত হয় । প্রতিবিম্ব সৎ, উল্টানো ও  আকারে খুব ছোটো হয়
                                 Fill in the blank.If an object i toppr.com
2.বস্তু লেন্স থেকে 2f অপেক্ষা বেশি দূরে অবস্থিত :
এক্ষেত্রে প্রতিবিম্ব সৎ ,উল্টানো  এবং  বস্তুর  চেয়ে আকারে  ছোট হয় ।
                            FORMATION OF DIFFERENT TYPES OF IMAGES BY A CONVEX LENS
AB বস্তুর  প্রতিবিম্ব  A¹B¹ |
3. বস্তু লেন্স থেকে  2f দূরত্বে  অবস্থিত :
এক্ষেত্রে প্রতিবিম্ব  সৎ , উল্টানো  এবং  বস্তুর সমান  আকৃতির  হয় ।
                       Where should an object be placed in front of a con toppr.com
4. বস্তু  f  এবং 2f  দূরত্বের মধ্যে  অবস্থিত :
এক্ষেত্রে  সৎ ,উল্টানো  ও  বস্তুর  চেয়ে  বড়  আকৃতির প্রতিবিম্ব  গঠিত  হয় ।
         Draw a ray-diagram to show the formation of a real magnified image ...
5. বস্তু লেন্সের  ফোকাসে  অবস্থিত :
এখানে প্রতিবিম্বটি অসীমে  তৈরি  হয়  এবং  বিশাল  আকৃতির  সৎ  বিম্ব  হয় ।
      If an object is placed at the focus of the convex lens, where is ...
6. বস্তু লেন্সটির ফোকাসের  মধ্যে  অবস্থিত :
বস্তুকে আলোককেন্দ্র ও ফোকাসের  মধ্যে  রাখলে  বস্তুটি লেন্সটির  যেদিকে  আছে  সেই দিকেই  একটি বিবর্ধিত অসৎ সমশীর্ষ প্রতিবিম্ব  গঠিত  হয় ।
                                deduce the relation for a convex lens producing a virtual image ...
অবতল লেন্সের  দ্বারা প্রতিবিম্ব  গঠন :
এক্ষেত্রে বস্তুর সবসময় অসৎ সমশীর্ষ  ও  খর্বাকৃতি  প্রতিবিম্ব  গঠিত  হয় ।
 
Images Formed by Lenses: Concave & Convex, Videos, Concepts, Q&As
ৰৈখিক বিবর্ধন (Linear magnification) :
প্রতিবিম্ব ও বস্তুর দৈঘ্যের  অনুপাতকে ৰৈখিক বিবর্ধন বলে । প্রমান করা যায় যে ৰৈখিক বিবর্ধন প্রতিবিম্ব এর দূরত্ব ও বস্তু দূরত্বের  অনুপাতের  সমান ।
              What is linear magnification - Science - Light - Reflection and ...
বিবর্ধক কাচ (Magnifying glass):
এটি  হল  কম ফোকাস  দৈঘ্যের একটি  উত্তল  লেন্স ।উত্তল  লেন্সের  ফোকাসের  মধ্যে  বস্তু  ধরলে  বস্তুটির  একটি  বিবর্ধিত অসৎ  প্রিতবিম্ব গঠিত  হয় ।
                     
                         schoolphysics ::Welcome::
মানুষের চোখের দৃষ্টি সমস্যা : 
স্বাবাবিক চোখ 25 সেমি থেকে  অসীম দূরত্ব  পর্যন্ত  দেখতে  পায় । একে  বলা হয়  স্বাবাবিক  চোখের দৃষ্টির  পাল্লা । ত্রুটি পূর্ণ  চোখের  দৃষ্টির  পাল্লা  স্বাভাবিক চোখের  তুলনায়  কম  হয় । মানুষের  চোখের  সাধারণত  দুই  প্রকারের  ত্রুটি দেখা  যায় । ১. দীর্ঘ দৃষ্টি  ২. স্বল্প দৃষ্টি
1.দীর্ঘ দৃষ্টি (Hypermetropia):
এই ক্ষেত্রে চোখ  দূরের  জিনিস  স্পষ্ট দেখতে পায় ,কিন্ত কাছের জিনিস স্পষ্টভাবে  দেখতে পায়  না । এক্ষেত্রে  স্পষ্ট দর্শনের ন্যূনতম দুরত্ব  25 সেমি  অপেক্ষা  বেশি  হয় । অক্ষিগোলকের  আকার  ছোটো  হলে  বা অক্ষি লেন্সের  ফোকাস দৈঘ্য বেড়ে গেলে  এই রকম  ত্রুটি  দেখা  যায় । ফলে প্রতিবিম্ব  রেটিনা তে তৈরি না হয়ে  রেটিনার পেছনে  তৈরি  হয় । এই  ত্রুটি  দূর  করার  জন্য  উত্তল  লেন্সের  চশমা  ব্যবহার  করা হয় । চশমার পাওয়ার  পজিটিভ  হয় ।
                              explain the defect of vision(a) myopia and (b) hypermetropia and ...
স্বল্প দৃষ্টি (Myopia):
এক্ষেত্রে চোখ  কাছের জিনিস  স্পষ্ট দেখতে পায় কিন্তু দূরের জিনিস  ভালো  দেখতে পায় না । দূরের বস্তু থেকে আগত রশ্মিগুচ্ছ চোখের লেন্স দ্বারা  প্রতিসৃত  হয়ে  রেটিনার  সামনের বিন্দুতে মিলিত হয় । চোখের লেন্সের ফোকাস দূরত্ব কমে গেলে এই  ধরনের ত্রুটি দেখা  যায় । এটি প্রতিকারের  জন্য  অবতল লেন্সের  চশমা  ব্যবহার  করতে  হয় ।
চশমার পাওয়ার  নেগেটিভ  হয় ।
                                              CBSE NCERT Notes Class 10 Physics Human Eye and Colourful World
আলোর বিচ্ছুরণ (Dispersion of Light):
যৌগিক আলো কোনো  সচ্ছ মাধ্যম  যেমন  প্রিজমের মধ্যে গিয়ে  বিভিন্ন  বর্ণে  বিভক্ত হওয়ার  ঘটনাকে  আলোর  বিচ্ছুরণ বলে ।
প্রিজমের সাহায্যে  সাদা আলোর বিচ্ছুরণ ( Dispersion of white light by prism) :
সাদা আলো প্রিজমের  মধ্যে  প্রতিসৃত  হয়ে  সাতটি  বিভিন্ন  বর্ণের  আলোকে  বিশ্লিষ্ট  হয়ে  যায় । এই  সাতটি বিভিন্ন  বর্ণের  যে  আলোর  পটি পাওয়া  যায়  তাকে  বর্ণালী বলে ।
      Draw a diagram to show the dispersion of white light by a glass ...
একটি সাদা  আলোকরশ্মি  প্রিজমটির  প্রথম  প্রতিসারক  তলে  আপতিত হলে ওই  রশ্মি  থেকে  সাতটি  আলাদা আলাদা বর্ণের  আলোক রশ্মি  পাওয়া  যায় । বিভিন্ন  বর্ণের  আলোর  প্রতিসরাঙ্ক তথা  গতিবেগ  বিভিন্ন  হওয়ায়  বর্ণগুলি  পাওয়া   যায় । বিভিন্ন  বর্ণগুলির  চ্যুতিও বিভিন্ন  হয় । দ্বিতীয়  প্রতিসরাক  তল থেকে  আরো  অধিক  বিচ্যুতি নিয়ে  বাইরে  বেরিয়ে  আসে । এখানে দুই প্রতিসরাক তলে বিভিন্ন বর্ণগুলির বিচ্যুতি  একই অভিমুখে  হয় ফলে বর্ণালী পাওয়া  যায় । বিভিন্ন  যৌগিক বর্ণগুলি  হল  বেগুনী ,নীল ,আকাশীনীল ,সবুজ ,হলুদ ,কমলা  ও লাল । মনে রাখার  জন্য  সমস্ত  বর্ণগুলির  আদ্যাক্ষর নিয়ে একটি  শব্দ  গঠন করা  যায় । শব্দটি  হল -বেনীআসহকলা  । ইংরেজিতে শব্দটি - VIBGYOR ।
আয়তাকার কাচের  স্ল্যাবের  মধ্যেদিয়ে সাদা  আলো  প্রতিসৃত  হলে  বর্ণালী  পাওয়া  যায় না  কারণ  এখানে দুই  বিপরীত প্রতিসারক তলে বিভিন্ন বর্ণের  আলোগুলির বিচ্যুতি  পরস্পর বিপরীত  দিকে  ঘটে । ফলে  মোট  বিচ্যুতি  শূন্য  হয় ।
একবর্ণী আলো (Monochromatic light):
সাদা আলো  হল  এক প্রকারের  যৌগিক আলো ,কারণ  সাদা আলো  সাতটি বিভিন্ন বর্ণের  আলোর  সমষ্টি । এই এক একটি বর্ণ  হল একবর্ণী আলো । কোনো অসচ্ছ বস্তুর বর্ণ নির্ভর করে বস্তুটি কোন বর্ণের আলো প্রতিফলন করতে পারে তার ওপর । লাল রঙের বস্তুর উপর সাদা আলো পড়লে কেবল লাল রংটি প্রতিফলিত হয় অন্য বর্ণের আলোগুলি শোষিত হয় ।তাই বস্তুটির রঙ  লাল  হয় । লাল বর্ণের জবা ফুলের উপর নীল আলো  পড়লে ফুলটিকে কালো দেখাবে ।
কারণ লাল ফুল  নীল রঙ কে  শোষণ করে  নিবে । জবা ফুল থেকে কোনো বর্ণের আলো প্রতিফলিত হবে না । সুতরাং ফুলটিকে কালো  দেখাবে  কারণ কালো রঙ  হলো  সমস্ত রঙের  অনুপস্থিতি ।কোনো সচ্ছ বস্তুর বর্ণ  নির্ভর করে  বস্তুর মধ্য দিয়ে নির্গত আলোর বর্ণের ওপর । নীলবর্ণের কাচের উপর সাদা আলো পড়লে শুধু নীলবর্ণটি কাচের ভিতর দিয়ে নির্গত হবে । অন্য্ বর্ণগুলি শোষিত হবে । ফলে কাচটি  নীল দেখাবে ।
আলোকতরঙ্গ ( Light wave) :
আলো এক প্রকারের তড়িৎচুম্বকীয় তির্যক  তরঙ্গ ( electromagnetic wave) | এই তরঙ্গ  বিস্তারের  জন্য কোনো জড় মাধ্যমের প্রয়োজন হয় না ।
তরঙ্গ সম্পর্কিত  কয়টি সংজ্ঞা :
কম্পাঙ্ক (Frequency) :
এক সেকেন্ডে কোনো মাধ্যমের মধ্যে  যতগুলি পূর্ণ  তরঙ্গের  সৃষ্টি  হয় তাকে  তরঙ্গের কম্পাঙ্ক  বলে । কম্পাঙ্কের  SI একক হলো হার্ৎজ (Hz) |
                            What is Frequency?
তরঙ্গদৈর্ঘ্য (Wave length) :
কোনো তরঙ্গের উপরিস্থিত সমদশা সম্পন্ন পরপর দুটি  বিন্দুর দূরত্ত্বকে ওই তরঙ্গের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য  বলে । তরঙ্গদৈর্ঘ্য  এর SI একক  মিটার ।
                          Wavelength - Simple English Wikipedia, the free encyclopedia
তরঙ্গবেগ (Wave velocity):
একক সময়ে  কোনো  তরঙ্গ  যে  দূরত্ব  অতিক্রম  করে তাকে তরঙ্গবেগ বলে । এর SI একক m/s  | শূন্য মাধ্যমে  সব  বর্ণের আলো  একই  বেগে  গমন  করে । এই  বেগের  মান  3 x 10⁸ m/s | কিন্তূ  কোনো  মাধ্যমে  আলোর বেগ উহার  তরঙ্গদৈর্ঘ্যের ওপর  নির্ভর করে ।  আলোর তরঙ্গ তত্ত্ব  অনুসারে  কোনো  মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক  শুন্যমাধ্যমে আলোর বেগ ও ওই মাধ্যমে  আলোর বেগের  অনুপাতের  সমান ( μ = c/v ) | বিভিন্ন বর্ণের প্রতিসরাঙ্ক বিভিন্ন  হওয়ায়  বিভিন্ন বর্ণের আলোর  গতিবেগও বিভিন্ন  হয় ।লাল বর্ণের গতিবেগ সবচেয়ে  বেশি  হয়  এবং  বেগুনি বর্ণের গতিবেগ  সবচেয়ে কম  হয় ।
                              How Things Work - Fall 2018
নীচে এর  চিত্রে  তরঙ্গ দৈর্ঘ্য অনুসারে  তড়িৎচুম্বকীয় বর্ণালী দেওয়া হল  -
     
Electromagnetic Spectrum : The Trick to Memorize the Order of ...
আলোকের বিক্ষেপণ (Scattering of light):
বায়ুমণ্ডলে অবস্থিত বিভিন্ন গ্যাসীয়  অনু  অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ  তরঙ্গের  আলো  শোষণ করে  এবং ওই শোষিত আলোক  তরঙ্গ চতুর্দিক ছড়িয়ে দেয় । এই  ঘটনাকে  আলোর  বিক্ষেপণ  বলে ।  এক্ষেত্রে ছড়িয়ে দেওয়া আলোর  তরঙ্গ দৈর্ঘ্য ও শোষিত আলোর  তরঙ্গদৈর্ঘ্য  একই  হয় । বিক্ষেপিত আলোর  তীব্রতা  সংশ্লিষ্ট  আলোর  তরঙ্গদৈর্ঘ্যের চতুর্ঘাতের ব্যস্তানুপাতিক । (I ∝ 1/ λ⁴)
                  Blue Sky and Rayleigh Scattering
এই  কারণে নীল আলোর  বিক্ষেপ  লাল আলোর  তুলনায়  বেশী  হয়  ( নীল আলোর  তরঙ্গদৈর্ঘ্য  লাল আলোর তুলনায় কম) এই জন্য  আকাশকে  নীল  দেখায় । চাঁদের আকাশ  কালো  দেখায়  কারণ  ওখানে  বায়ুমণ্ডল  না থাকায় আলোর কোনো  বিক্ষেপণ হয় না ।
নীচের MCQ  গুলি উত্তর দাও ( প্রদত্ত লিংক টিতে click বা click না হলে  copy করে  গুগল ব্রাউজার এ  paste কর  ):
https://forms.gle/bHQWKdRsny19cbi66

MCQ for H.S

 1. A chemical cell of emf  E and internal resistance r is connected to a resistance R .The potential difference across R is given by :  A) ...