Concept of Mole(মোলের ধারণা )

মোল :
কোনো পদার্থের এক মোল বলতে  সেই  পরিমান  পদার্থ বোঝায় যার  মধ্যে  ওই  পদার্থের উপাদান  কণা ( অনু ,পরমাণু ,আয়ন  ইত্যাদি ) সংখ্যা হয়  6.022 x 10²³ | ( এই সংখ্যা  12 গ্রাম  ¹²C আইসোটোপে যত গুলি কার্বন  পরমাণু থাকে তার  সমান  )
    Mole Concept - YouTube
আভোগেড্রো সংখ্যা :
এক  মোল কোনো পদার্থে যত সংখ্যক  ওই পদার্থ গঠন কারী উপাদান কণিকা (অনু ,পরমাণু ) উপস্থিত থাকে  সেই সংখ্যাকে আভোগেড্রো সংখ্যা বলে ।এর মান 6.022 x 10²³ |
সর্বাধুনিক সংজ্ঞা :
কার্বনের  ¹²C আইসোটোপের  0.012 কিলোগ্রামে  যত সংখ্যক  কার্বন পরমাণু থাকে  সেই  সংখ্যাকে  আভোগেড্রো  সংখ্যা  বলে । এর  মান 6.022 x 10²³
আভোগেড্রো সংখ্যার গুরুত্ত্ব :
অতি সামান্য পরিমান  রাসায়নিক  পদার্থের  মধ্যে অনু ,পরমাণু  আয়ন  ইত্যাদির  সংখ্যা  কল্পনাতীত । সেজন্য কোনো রাসায়নিক নমুনায় উপস্থিত অনু পরমাণুর  সংখ্যা  গণনা করা অসম্ভব । কিন্তূ আভোগেড্রো সাংখ্যের  সাহায্যে আমরা আণুবীক্ষণিক জগতের  সঙ্গে  দৃশ্যমান জগতের সম্পর্ক  স্থাপন  করতে  পারি । যেমন - এক মোল হাইড্রোজেনে  হাইড্রোজেন  অণুর সংখ্যা  6.022 x 10²³ ।
পারমানবিক ভর (Atomic mass) : পরমাণুর  ভর খুবই কম । যেমন - একটি  হাইড্রোজেন  পরমাণুর  ভর  1.673 x 10⁻²⁴ g | অতএব  পরমাণুর প্রকৃত ভর  প্রকাশের ক্ষেত্রে  গ্রাম বা  কিলোগ্রাম  খুবই  বড় একক । এইজন্য কোনো একটি পরমাণুর ভরকে একক হিসাবে ধরে অন্য কোনো  পরমাণুর  তুলনামূলক ভর  পরিমাপ করা  হয় । এই  তুলনামূলক ভরকে মৌলের পারমানবিক ভর বলে ।
হাইড্রোজেন স্কেলে পারমানবিক  ভর :
কোনো মৌলের একটি  পরমাণুর ভর  একটি  হাইড্রোজেন পরমাণুর ভরের তুলনায় যত গুন্ ভারী  সেই  তুলনামূলক সংখ্যাটিকে  ওই  মৌলের  পারমানবিক ভর বলে ।
  • পারমানবিক ভর  =মৌলের একটি পরমাণুর ভর / হাইড্রোজেনের  একটি  পরমাণুর  ভর 
  • হাইড্রোজেন স্কেল এ পারমাণবিক গুরুত্ব নির্ণয়ে অসুবিধা -
  • যেহেতু হাইড্রোজেন অনেক মৌলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যৌগ গঠন করে না সেহেতু ওই সকল মৌলের পারমাণবিক ওজন হাইড্রোজেন স্কেল এ নির্ণয় করা যায় না ।
  • অক্সিজেন স্কেল - একটি  অক্সিজেন পরমাণুর ভর 16 ধরে তার 1/16 অংশকে একক ধরে অপর যে কোনো মৌলের একটি পরমাণু যত গুণ ভারী সেই সংখ্যাকে ওই মৌলের পারমাণবিক গুরুত্ব বলে ।
  • অতএব , পারমাণবিক গুরুত্ব = মৌলের একটি পরমাণুর ওজন / অক্সিজেনের একটি পরামণুর ওজনের 1/16 অংশ 
  •  = মৌলের একটি পরমাণুর ওজন /অক্সিজেনের একটি পরমাণুর ওজন  x 16
  • অক্সিজেনকে একক বা প্রমাণ হিসাবে গ্রহণ করার কারণ :
  • মৌলগুলি হাইড্রোজেন অপেক্ষা অক্সিজেনের সঙ্গে সহজে যুক্ত হয়ে যৌগ গঠন করে । হাইড্রোজেনকে প্রমাণ হিসাবে ধরলে যে ভুল হবার সম্ভাবনা থাকে অক্সিজেনের ক্ষেত্রে সেই ভুলের পরিমাণ কম হয় ।
  • কার্বন স্কেল :
  • একটি কার্বন পরমাণুর ওজন 12 ধরে ,তার তুলনায় কোনো মৌলেরএকটি পরমাণুর  ওজন যত ,তাই হলো ওই মৌলার পারমানবিক গুরুত্ব বলে । অর্থাৎ একটি কার্বন পরমাণুর ওজনের 1/12 অংশের তুলনায় কোনো মৌলের একটি পরমাণু যত গুন ভারী ,সেই সংখ্যাকে ওই মৌলের পরামানিক গুরুত্ব বলে ।
  • অতএব , পারমাণবিক গুরুত্ব = কোনো মৌলের একটি পরমাণুর ওজন / একটি কার্বন পরমাণুর ওজনের 1/12 অংশ ।
  • =  কোনো মৌলের একটি পরমাণুর ওজন / একটি কার্বন পরমাণুর ওজন  x 12 
  • অণু : মৌল বা যৌগের ক্ষুদ্রতম কণিকা যার মধ্যে ওই মৌলের বা যৌগের সব ধৰ্ম বর্তমান থাকে এবং যা স্বাধীনভাবে থাকতে পারে তাকে অণু বলে ।
  • অণু দুই প্রকারের হয় - 1. মৌলিক অণু  2. যৌগিক অণু 
  • মৌলিক অণু - মৌলিক পদার্থের এক বা একাধিক পরমাণু নিয়ে মৌলের অণু গঠিত হয় । উদাহরণ - Na ,K, O₂,H₂, P₄ ইত্যাদি ।
  • যৌগিক অণু - একাধিক মৌলিক পদার্থের পরমাণু দিয়ে গঠিত অণু কে যৌগিক অণু বলে । যেমন - জলের অণু (H₂O),এমোনিয়ার অণু (NH₃)
  • আনবিক ওজন - কোনো মৌলের বা যৌগের একটি অণু একটি হাইড্রোজেন পরমাণু ( H - 1.008) অথবা একটি অক্সিজেন পরমাণুর ওজনের 1/16 অংশের তুলনায় যতগুন ভারী সেই সংখ্যাকে ওই মৌলের বা যৌগের আনবিক গুরুত্ব বলে ।
  • আনবিক ওজন   = মৌলের বা যৌগের একটি অণুর ওজন / হাইড্রোজেনের একটি পরমাণুর ওজন 
  •    বা  আনবিক ওজন = মৌলের বা যৌগের  একটি  অণুর ওজন / একটি অক্সিজেন পরমাণুর ওজনের 16 ভাগের এক ভাগ ।
  • আনবিক গুরুত্ব একটি সংখ্যামাত্র এর কোনো একক নাই ।
  • কার্বনডাইঅক্সাইডের আণবিক ওজন 44 বলতে কি বোঝায় ?
  • একটি কার্বনডাইঅক্সাইডের অণু একটি হাইড্রোজেন পরমাণু অপেক্ষা 44 গুণ বেশি ভারী অথবা কার্বনডাইঅক্সাইডের একটি অণুর ওজন একটি অক্সিজেন পরমাণুর ওজনের 16 ভাগের এক ভাগের তুলনায় 44 গুণ ভারী ।
  • আণবিক গুরুত্বের কার্বণ স্কেল :
    কোনো মৌল বা যৌগের একটি অণু একটি কার্বণ (C¹² ) পরমাণুর ওজনের 1/12 অংশের তুলনায় যতগুন ভারী তাকে ওই মৌলের বা যৌগের আনবিক গুরুত্ব বলে ।
  • আনবিক গুরুত্ব = মৌলের বা যৌগের একটি অণুর ওজন / একটি কার্বন পরমাণুর ওজনের 1/12 অংশ ।
  • কোনো মৌল বা যৌগের আনবিক ওজন ওই মৌল বা যৌগ যে সমস্ত পরমাণু দ্বারা গঠিত তাদের পারমানবিক ওজনের যোগফলের সমান ।
  • নীচে কয়েকটি মৌল ও যৌগের আনবিক ওজন আনবিক সংকেত থেকে নির্ণয় করে দেখানো হল :
  •  মৌল বা যৌগ 

     আনবিক সংকেত 

     আনবিক গুরুত্ব 

     অক্সিজেন 

     O₂ - 2 টি অক্সিজেন পরমাণু 

     2 x 16 = 32

     নাইট্রোজেন 

     N₂ - 2টি  N পরমাণু 

     2 x 14 = 28 

     ক্লোরিন 

     Cl₂ - 2 টি Cl পরমাণু 

     2 x 35.5 = 71 

     জল 

     H₂O - 2 টি H পরমাণু ও 1 টি অক্সিজেন পরমাণু 

     (2 x 1) + (1 x 16 )= 18

     কার্বনডাইঅক্সাইড 

     CO₂ - 1 টি কার্বন পরমাণু  ও 2 টি অক্সিজেন পরমাণু 

     (1 x 12 )+ (2 x 16) = 44

     সালফিউরিক এসিড 

    H₂SO₄ - 2 টি হাইড্রোজেন পরমাণু  , 1 টি  সালফার পরমাণু  ও 4 টি  O পরমাণু 

     (2 x 1)+ (1 x 32) + (4 x 16) = 98 

     ইথাইল এলকোহল 

     C₂H₅OH - 2 টি C পরমাণু , 6 টি H পরমাণু ও 1 টি O পরমাণু 

     (2 x 12 )+ (6 x 1) + (1 x 16 )= 46

     ক্যালসিয়াম কার্বনেট 

     CaCO₃ - 1টি Ca পরমাণু ,1 টি C পরমাণু ও 3 টি O পরমাণু 

     (1 x 40) + (1 x 12 )+ (3 x 16 )= 100

     চিনি 

    C₁₂H₂₂O₁₁ - 12 টি  C পরমাণু , 22 টি H পরমাণু  ও 11 টি  O পরমাণু  

     (12 x 12) + (22 x 1) + (11 x 16) = 342


  • আভোগেড্রো  প্রকল্প অনুসারে আনবিক গুরুত্বের সংগা :
  • প্রমাণ চাপ ও উষ্ণতায় 22.4 লিটার আয়তনের কোনো গ্যাসীয় পদার্থের ওজন যত গ্রাম হয় ,ওজনের সেই সংখ্যাকে আনবিক গুরুত্ব বলে ।
  • যেমন - NTP তে 22.4 লিটার অক্সিজেনের ওজন = 32 গ্রাম । সুতরাং অক্সিজেনের আনবিক ওজন = 32 
  • গ্রাম পরমাণু - কোনো মৌলিক পদার্থের পারমানবিক ওজনকে গ্রামে প্রকাশ করলে যত গ্রাম হয় সেই ওজনকে ওই মৌলের এক গ্রাম পরমাণু বলে । যেমন- অক্সিজেনের পারমানবিক গুরুত্ব 16 , এক গ্রাম পরমাণু অক্সিজেন = 16 গ্রাম অক্সিজেন । নাইট্রোজেনের পারমানবিক ওজন 14 , সুতরাং এক গ্রাম পরমাণু নাইট্রোজেন = 14 গ্রাম নাইট্রোজেন ।
  • গ্রাম অণু  - কোনো মৌলিক বা যৌগিক পদার্থের  আনবিক গুরুত্বকে গ্রামে প্রকাশ করলে যত গ্রাম হয় গ্রামে প্রকাশিত সেই ওজনকে এক গ্রাম অণু বা মোল বলে । যেমন - এক গ্রাম অনু কার্বনডাইঅক্সাইড = 44 গ্রাম CO₂ ,কারণ CO₂ এর আনবিক ওজন 44 |
  • 1 গ্রাম অণু বা এক মোল  CaCO₃ = 100 গ্রাম CaCO₃ ।
  • 0.1 গ্রাম অণু  H₂SO₄ = 0.1 x 98 গ্রাম = 9.8 গ্রাম সালফিউরিক এসিড ।
  • পারমানবিক ভর একক ( Atomic Mass Unit or a.m.u ) -
  • কোনো মৌলের একটি পরমাণুর ভরকে যে এককের আপেক্ষিকে প্রকাশ করা হয় তাকে পারমানবিক ভর একক বলে ।
  • 1 পারমানবিক ভর একক ( 1 a.m.u ) = 1/12 x 1 টি  কার্বন পরমাণুর ভর  = 1/12 x 12/ ( 6.023 x 10²³ ) = 1.6603 x 10⁻²⁴ গ্রাম  = 1.6603 x 10⁻²⁷ কিগ্ৰা ।
  • কোনো মৌলের পারমানবিক গুরুত্বকে 1.6603 x 10⁻²⁷ কিগ্ৰা  দ্বারা গুন করলে ওই মৌলের একটি পরমাণুর প্রকৃত ওজন পাওয়া যায় ।
  • গ্রাম আনবিক আয়তন বা মোলার আয়তন :
  • কোনো নিৰ্দিষ্ট উস্নতায় ও চাপে এক গ্রাম অণু পরিমাণ কোনো গ্যাসীয় পদার্থের (মৌলিক বা যৌগিক ) আয়তনকে গ্রাম আনবিক আয়তন বলে ।।
  • প্রমাণ চাপ ও উস্নতায়(N.T.P) এক গ্রাম অণু যে কোনো গ্যাসের আয়তন 22.4 লিটার ।
  • যেমন - N.T.P তে 44 গ্রাম CO₂ এর আয়তন =22.4 লিটার , 17 গ্রাম NH₃ এর আয়তন =22.4 লিটার  , আবার 64 গ্রাম SO₂ এর আয়তন = 22.4 লিটার ।
  • উস্নতা ও চাপের পরিবর্তনে মোলার আয়তনের পরিববর্তন হয় ।।
  • যেমন - 27ºC ও 750 মিমি কোনো গ্যাসের মোলার আয়তন  হবে --
  • P₁V₁/T₁ = P₂V₂/T₂ থেকে পাই , P₁ = 760 মিমি , V₁= 22.4 লিটার ,T₁ = 273 K এবং P₂ = 750 মিমি , T₂  = 273 + 27 = 300 K 
  • ⇒V₂ = P₁V₁T₂/(T₁P₂) = 760 x 22.4 x 300/( 750 x 273 ) = 24.94 লিটার  ।
  • নিম্ন লিখিত মৌল বা যৌগ গুলির মোল সংখ্যা  নির্ণয় কর :
  • a ) 46 গ্রাম Na b) 80 গ্রাম অক্সিজেন  c) 64 গ্রাম  জল 
  • a) Na এর মোল সংখ্যা = প্রদত্ত ভর / পারমাণবিক ভর  = 46/23 = 2 
  • b) অক্সিজেনের মোল সংখ্যা = 80/16 = 5 
  • c) জলের মোল সংখ্যা = 64/18 = 3.55 
  • 12.046 x 6.022 x 10²³ সংখ্যক He পরমাণুর মোল সংখ্যা কত ?
  • আমরা জানি 1 মোল = 6.022 x 10²³  
  • He এর মোল সংখ্যা = 12.046 x 6.022 x 10²³ / (6.022 x 10²³) = 2 
  • 9 গ্রাম জলে অণুর সংখ্যা কত ?
  • জলের আনবিক ওজন = 18 
  • অতএব 18 গ্রাম জলে অণুর সংখ্যা = 6.022 x 10²³ 
  • সুতরাং 9 গ্রাম জলে অণুর সংখ্যা = 6.022 x 10²³/18 x 9 = 3.011 x 10²³ 
  • প্রমাণ চাপ ও উস্নতায় 8 গ্রাম অক্সিজেনের আয়তন কত ?
  • প্রমাণ চাপ ও উস্নতায় 32 গ্রাম অক্সিজেনের আয়তন 22.4 লিটার ।
  • অতএব 8 গ্রাম অক্সিজেনের আয়তন 22.4 /32 x 8  = 5.6 লিটার ।

Atomic Structure(পরমাণুর গঠন)

পরমাণুর গঠন (Atomic Structure) :
পরমাণুর ধারণা  আমরা  বিজ্ঞানী জন ডালটনের  কাছ  থেকে  পেয়েছি । এই থেকে  আমরা  পরমাণু কে  নিন্নরূপে সংজ্ঞায়িত করতে পারি । মৌলের অবিভাজ্য ক্ষুদ্রতম কণিকা  যা রাসায়নিক  বিক্রিয়াতে  অংশ গ্রহণ  করে এবং যার  মধ্যে মৌলের সমস্ত ধৰ্ম ও গুনাগুন বজায়  থাকে  তাকে  পরমাণু  বলে । ডাল্টনের মতানুসারে পরমাণু  অবিভাজ্য । কিন্তূ ক্যাথোড রশ্মি ,তেজস্ক্রিয়তা ,এক্সরশ্মি  ইত্যাদি  আবিষ্কারের  ফলে  জানা  গেছে পারমাণুই  ক্ষুদ্রতম কণিকা নয় । বর্তমানে জানা  গেছে পরমাণু কতকগুলি  আরও ক্ষুদ্রতম কণিকার দ্বারা  গঠিত । এই সমস্ত কণিকাগুলির  মধ্যে প্রধানত হল - ইলেকট্রন ,প্রোটন ও  নিউট্রন
ইলেকট্রন আবিষ্কার (Discovery of electron):
0.01 mm বায়ুর চাপে কাচের তড়িৎ মোক্ষণ নলে সামান্য  বায়ু রেখে ক্যাথোড ও এনোড এর মধ্যে  উচ্চ বিভব পার্থক্য ( 10,000 volts) প্রয়োগ করে  DC তড়িৎ প্রবাহ পাঠালে ক্যাথোড থেকে  এনোড এর দিকে   এক অদৃশ্য রশ্মি সরল রেখায় গমন করে এনোড প্রান্তের কাচ নলের  দেয়ালে  আঘাত করে সবুজ রঙের  প্রতিপ্রভার সৃষ্টি করে । এই রশ্মিকে  ক্যাথোড রশ্মি বলে ।
   Observations in the cathode ray tube experiement - Physics Stack ...
ক্যাথোড রশ্মির ধৰ্ম পর্যালোচনা করে  জানা  গেছে  এটি  হল  ঋণাত্মক আধান বিশিষ্ট  ইলেকট্রন  কণিকার  স্রোত ।
তড়িৎ মোক্ষণ নলে যেকোনো ক্যাথোড  ও গ্যাস ব্যবহার করে একই রকমের ঋণাত্মক তড়িৎ বাহী  কণিকা পাওয়া গেছে । এখান  থেকে  বলা  যায়  ইলেকট্রন  সব  মৌলের  পরমাণুর  একটি উপাদান কণিকা । ইলেকট্রনের আধান হল -1.602 x 10⁻¹⁹ কুলম্ব  বা  - 4.8 х 10⁻¹º esu | ইলেকট্রনের  ভর  9.11 x 10⁻³¹ kg.
প্রোটন আবিষ্কার (Discovery of Proton):
ক্যাথোড রশ্মি  উৎপাদক  নলে ছিদ্রযুক্ত ক্যাথোড ব্যবহার করলে  ক্যাথোড রশ্মির বিপরীত দিকে  গমনশীল একটি রশ্মি পাওয়া যায় ।এই রশ্মি  ধনাত্মক আধানযুক্ত হয় ।এই রশ্মিকে বলা হয় পজিটিভ বা ধনাত্মক রশ্মি ।
                   What are the properties of anode rays? - Quora
এই পজিটিভ রশ্মি থেকে প্রোটন  আবিষ্কৃত হয়েছে ।প্রোটনের ভর 1.6725 x 10⁻²⁷ kg. ইহার আধান +1.602 x 10⁻¹⁹কুলম্ব ।প্রোটনের আধান ইলেকট্রনের আধানের  সমান ,কিন্তূ  বিপরীত ধর্মী ।প্রোটন ধনাত্মক তড়িৎ ধর্মী কিন্তূ ইলেকট্রন ঋণাত্মক তড়িৎ ধর্মী ।
নিউট্রন আবিষ্কার (Discovery of neutron):
বেরিলিয়াম ধাতুকে α কণিকা( ₂He⁴)  দ্বারা আঘাত  করলে কার্বনের C-12 আইসোটোপ  ছাড়াও একটি তড়িৎ নিরপেক্ষ কণিকা পাওয়া যায় যা তড়িৎ বা  চুম্বক ক্ষেত্র দ্বারা বিক্ষিপ্ত হয় না । এই নিস্তড়িৎ কণিকার নাম  নিউট্রন ।
                  ₄Be⁹ + ₂He⁴⟶ ₆C¹² +₀n¹
নিউট্রনের ভর  প্রোটনের  ভরের প্রায় সমান । নিউট্রনের  ভর   1.675 x 10⁻²⁷ kg |
   PDF] Chadwick and the Discovery of the Neutron | Semantic Scholar
আধুনিক পরমাণু মডেলের ধারণা রাদারফোর্ডের α -কণা বিক্ষেপণ পরীক্ষা থেকে  জানা যায় ।
রাদারফোর্ডের α -কণা বিক্ষেপণ পরীক্ষা :
   Draw a labelled diagram for α-particle scattering experiment. Give ...
 Rutherford's α - particle scattering experiment
উচ্চ গতিবেগ সম্পন্ন α -কণা র  গতিপথে খুব পাতলা সোনার পাত ( 0.00004 mm) রাখা  হয় ।পাতটির  পেছনে ZnS এর প্রলেপ একটি পর্দা রাখা হয় ।এই পর্দায়  α-রশ্মি  আঘাত করলে প্রতিপ্রভার সৃষ্টি হয় যার সাহায্যে α-কণার গতিপথ লক্ষ্য করা যায় । এই নিম্ন লিখিত পর্যবেক্ষন গুলি রাদারফোর্ড  করেন -
1) বেশির ভাগ  α কণা (প্রায় ৯৯%)  সোনার পাত  সরলরেখায় অবিচ্যুত থেকে অতিক্রম করে  যায় ।
2)কিছু সংখ্যক  আলফা কণা সামান্য কোনে বিক্ষিপ্ত হয়ে ডান বা বাম দিকে বেঁকে যায় ।
3) খুব অল্প সংখ্যক কণিকা ৯০ ⁰ বেশি কোনে  বেঁকে  যায় ।
4) দু  একটি  আলফা  কণা ( প্রায় 20000 এর মধ্যে একটি ) ১৮০⁰ কোনে  বিচ্যুত হয়ে  যায় ।
সিদ্ধান্ত :যেহেতু বেশির ভাগ  α -কণা  অবিচ্যুত অবস্থায়  সরলরেখায় গমন করে সুতরাং পরমাণুর  বেশির  ভাগ স্থান  ফাঁকা । যে  α কণা  গুলি  সামান্য  কোনে  বেঁকে যায়  সেগুলি অবশ্যই  কোনো কোনো ভারী  এবং ধনাত্মক  আধানযুক্ত  পারমানবিক অংশের কাছ দিয়ে যায়  এবং বিকর্ষণ বলের প্রভাবে বিচ্যুত হয় ।
যে α - কণা গুলি 180⁰ কোনে  বিচ্যুত হয় সেই কণিকাগুলি কোনো ভারী  এবং উচ্চ ধনাত্মক আধান যুক্ত অংশ দ্বারা সরাসরি বিকর্ষিত হয় ।এর দ্বারা পরমাণুর প্রায় সমস্ত ভর  ও  ধনাত্মক  আধান ইহার কেন্দ্রে একটি অতিক্ষুদ্র স্থানে কেন্দ্রীভূত থাকে । রাদারফোর্ড এই কেন্দ্রের  নাম দেন নিউক্লিয়াস । নিউক্লিয়াসের  ব্যাস (10⁻¹⁵ m ) পরমাণুর ব্যাসের (10⁻¹ºm ) 100000 ভাগের  এক ভাগ ।ইলেকট্রন গুলি  নিউক্লিয়াসের বাহিরে ফাঁকা স্থানে অবস্থান করে ।যেহেতু আলফা কণা ইলেকট্রন অপেক্ষা বহুগুণ ভারী (প্রায় ৭৫০০ গুন্) সেই জন্য  পরমাণুর ভিতর যাবার সময় α -কণা এর গতি  ইলেকট্রন  দ্বারা  প্রভাবিত হয় না ।

রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেল :
রাদারফোর্ড পরমাণু মডেলের দুটি অংশ ।1) নিউক্লিয়াস  2)ইলেকট্রন মহল ।
1) নিউক্লিয়াস - পরমাণুর সমস্ত ভর  ও  ধনাত্মক আধান  নিউক্লিয়াসে কেন্দ্রিভুত থাকে । নিউক্লিয়াসের ব্যাস প্রায় 10⁻¹⁵ m | পরমাণুর ব্যাস 10⁻¹º m |  সুতরাং নিউক্লিয়াসের আয়তন পরমাণুর আয়তনের তুলনায় অতি নগন্য ।
নিউক্লিয়াসটি পজিটিভ তড়িৎ গ্রস্ত কণা প্রোটন  ও নিস্তড়িৎ কণিকা  নিউট্রন  দ্বারা  গঠিত । পরমাণুর ভর প্রায় ওহার নিউক্লিয়াসের ভরের সঙ্গে সমান ,কারণ ইলেকট্রনের  ভর নগণ্য ।
2) ইলেকট্রন মহল : পরমাণু নিস্তড়িৎ হওয়ায় নিউক্লিয়াসে যতগুলি ধনাত্মক কণিকা প্রোটন থাকে ঠিক তত গুলি ঋণাত্মক ইলেকট্রন নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কক্ষে তীব্র বেগে আবর্তন করতে থাকে । ইলেকট্রন গুলি ঘূর্ণনের ফলে উৎপন্ন অপকেন্দ্রিক বল নিউক্লিয়াস ও ইলেকট্রনের মধ্যে ক্রিয়াশীল স্থির তড়িৎআকর্ষণ  বলের  সমান  ও বিপরীত  হয় ।ফলে ইলেকট্রন গুলি নিউক্লিয়াসে এসে পড়ে না ।
    Rutherford Atomic Model | Electrical4U

রাদারফোর্ড পরমাণু মডেলের সীমাবদ্ধতা :
ইলেক্ট্রনগুলি তড়িৎ ধর্মী কণিকা এবং ঘূর্ণনশীল থাকায় উহার ত্বরণ উৎপন্ন হয় । তড়িৎ চুম্বকীয় তত্ত্ব অনুযায়ী ত্বরণ যুক্ত তড়িৎ কণা শক্তি বিকিরণ  করে । ফলে ইলেক্ট্রনগুলির শক্তি ক্রমশ কমতে থাকবে এবং উহার কক্ষপথের ব্যাসার্ধ ক্রমশ ছোট হবে ।শেষ পর্যন্ত ইলেকট্রন গুলি নিউক্লিয়াসে এসে পড়বে । সুতরাং এখানে ইলেকট্রনের কক্ষপথের সুস্থিতির ব্যাখ্যা নেই ।
তড়িৎ চুম্বকীয় তত্ত্ব অনুসারে ঘূর্ণায়মান ইলেকট্রন গুলির  দ্বারা নিরবিচ্ছিন্ন বর্ণালী উৎপন্ন হওয়ার কথা ।কিন্তূ পরমাণু থেকে রেখা বর্ণালী পাওয়া যায় । সুতরাং রাথারফোর্ডের পরমাণু মডেল রেখা বর্ণালী ব্যাখ্যা করতে পারে  না ।
  Why will electron release energy according to Maxwell theory? - Quora


বোর -রাদারফোর্ড পরমাণু মডেল :
রাদারফোর্ড পরমাণু মডেলের  ত্রুটি অর্থাৎ পরমাণুর স্থায়িত্ব ব্যাখ্যা করার জন্য  নিলস বোর একটি  পরমাণু মডেলের ধারণা  দেন যা বোর -রাদারফোর্ড মডেল  নামে পরিচিত । এই পরমাণু মডেলের স্বিকার্য্য গুলি  হল -
1) পরমাণুর নিউক্লিয়াস কে  ঘিরে  কতকগুলি  সুনিদিষ্ট ব্যাসার্ধের  কক্ষ পথ আছে ।এই কক্ষ পথগুলিকে সুস্থির কক্ষ (Stationary)পথ বলে | যখন কোনো ইলেকট্রন এই  সুস্থির কক্ষ পথে  ঘুরে তখন কোনো শক্তিগ্রহণ   বা বর্জন ঘটে না । এই কক্ষ পথে ইলেকট্রনের অবস্থান কালে  ইলেকট্রনের শক্তি  স্থির  থাকে । প্রত্যেকটি সুস্থির কক্ষপথের একটি নিৰ্দিষ্ট শক্তি থাকে । কক্ষ পথগুলিকে নিউক্লিয়াস থেকে ক্রমশ দূরত্ব অনুসারে 1,2,34 .........ইত্যাদি সংখ্যা দ্বারা চিহ্নিত করা হয় বা K,L,M,N ....অক্ষর  দ্বারাও চিহ্নিত করা হয় । কক্ষ পথ  নিৰ্দেশকারী  সংখ্যাগুলিকে  মুখ্য কুয়ান্টাম  সংখ্যা(Principal quantum number) বলা হয় ।
2) নিউক্লিয়াস থেকে কক্ষ গুলির দূরত্ব যত বেশি হয় কক্ষ গুলির শক্তিও  তত বেশি হয় । প্রথম ,দ্বিতীয় ,তৃতীয়  ইত্যাদি কক্ষ গুলির  শক্তি যথাক্রমে E₁,E₂,E₃,E₄ হলে  E₁< E₂<E₃<E₄ ... হবে ।
3) যখন কোনো ইলেকট্রন এক কক্ষ পথ থেকে অন্য কক্ষ পথে গমন করে তখন ইলেকট্রন শক্তি গ্রহণ বা বর্জন করে । যখন ইলেক্ট্রনটি উচ্চ শক্তিস্তর থেকে নিম্ন শক্তিস্তরে গমন করে তখন শক্তি বিকিরণ করে ।আর যখন নিম্ন শক্তিস্তর থেকে উচ্চ শক্তিস্তরে গমন করে তখন শক্তি গ্রহণ বা শোষণ করে ।
     Bohr's Model of an Atom with Postulates and Limitations | BYJU'S Bohr model - Wikipedia
বোরের তত্ত্ব অনুসারে যখন ইলেকট্রন কোনো নিৰ্দিষ্ট কক্ষ পথে ঘুরে তখন কোনো শক্তি বিকিরণ করে না তাই এই পরমাণু মডেল পরমাণুর  স্থায়িত্ব ব্যাখ্যা সক্ষম ।
পারমানবিক সংখ্যা(Atomic Number) :
কোনো মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াসে যত সংখ্যক প্রোটন থাকে  সেই  সংখ্যাকে ওই মৌলের পারমানবিক বা পরমাণু ক্রমাঙ্ক  সংখ্যা বলে ।
পারমানবিক সংখ্যা  = প্রোটন সংখ্যা  = ইলেকট্রন সংখ্যা ।
ভর সংখ্যা (Mass Number):
কোনো মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াসে অবস্থিত প্রোটন ও নিউট্রণ সংখ্যার  সমষ্টিকে মৌলটির ভরসংখ্যা বলে ।
ভরসংখ্যা = প্রোটন সংখ্যা  + নিউট্রণ সংখ্যা  ।
কোনো মৌলের পারমানবিক সংখ্যা ও ভরসংখ্যা  নিন্ন লিখিত ভাবে  প্রকাশিত  করা হয় ।
 যেমন  - ₁₃Al²⁷ বা ₁₃²⁷Al  দ্বারা এলুমিনিয়ামের নিউক্লিয়াসকে বোঝানো হয়েছে , যার  পারমানবিক সংখ্যা 13, ভরসংখ্যা  27 |
সমস্থানিক বা  আইসোটোপ :
একই মৌলের  বিভিন্ন পরমাণু  পারমানবিক সংখ্যা  একই  কিন্তূ নিউক্লিয়াসে বিভিন্ন  সংখ্যক নিউট্রন থাকার জন্য  ভরসংখ্যা  বিভিন্ন হয়  তাদের পরস্পরের  আইসোটোপ বলে ।আইসোটোপ গুলির রাসায়নিক  ধৰ্ম একই হয় ।
  হাইড্রোজেনের তিনটি আইসোটোপ আছে যাদের ভরসংখ্যা  যথাক্রমে 1,2,3 ; তিনটির পারমানবিক সংখ্যা  1 |
 Isotopes of Hydrogen
কার্বনের আইসোটোপ 
      What is Isotopes? - QS Study
কার্বনের তিনটি আইসোটোপ আছে ,যাদের ভর সংখ্যা  যথাক্রমে 12,13,14 | তিনটির পারমানবিক সংখ্যা  6 |
ক্লোরিনের আইসোটোপ :
    
ক্লোরিনের দুই টি  আইসোটোপ  আছে  যাদের  ভরসংখ্যা  যথাক্রমে ৩৫ এবং ৩৭ । উভয়ের পারমানবিক  সংখ্যা  ১৭ ।
অক্সিজেনের আইসোটোপ :
  

অক্সিজেনের তিনটি আইসোটোপ পাওয়া যায় । এদের ভরসংখ্যা যথাক্রমে  ১৬,১৭,১৮ । সবগুলির পারমানবিক সংখ্যা ৮ । এদের নিউট্রন সংখ্যা যথাক্রমে  ১৬ -৮ = ৮,১৭ -৮ = ৯, ১৮-৮ = ১০ ।
আইসোবার (Isobar ):
বিভিন্ন মৌলের যে সকল পরমাণুর ভরসংখ্যা একই  কিন্তূ পারমানবিক  সংখ্যা  আলাদা  তাদেরকে পরস্পরের  আইসোবার  বলে । আইসবার গুলি বিভিন্ন মৌলের  হওয়ায়  এদের  রাসায়নিক  ধৰ্ম  ভিন্ন হয় ।
    Isobars - Definition, Examples & Uses What are the examples of isotopes and isobars? - Quora


আইসোটোন (Isotone):
বিভিন্ন মৌলের  যেসকল পরমাণুর  নিউট্রন  সংখ্যা  সমান কিন্তূ প্রোটন সংখ্যা আলাদা তাদের আইসো টোন বলে ।

 Isotones: Definition, Examples, Questions
ATOMIC STRUCTURE. 1.Rutherford's Experiment 2.Basic Particles of ...

নিউক্লিও বল (Nuclear Force ) :
π মেসন কণিকার  আদান প্রদানের  মাধ্যমে  নিউক্লিয়াসের মধ্যস্থ প্রোটন ও  নিউট্রনের  পারস্পরিক রূপান্তর  হয় । এর ফলে উদ্ভুত  তীব্র  আকর্ষণ বল প্রোটন ও নিউট্রনগুলিকে  একসঙ্গে ধরে  রাখে । এই  আকর্ষণ বলের নাম  নিউক্লিও বল
    Quantum Mechanical Model Nucleus - Lessons - Tes Teach
নিউক্লিও বলের বৈশিষ্ট :
নিউক্লিও বল  মহাকর্ষীয় বা  স্থির তড়িৎ বল  অপেক্ষা  ভিন্ন  প্রকৃতির । এই  নিউক্লিও বল  মহাকর্ষীয়  বল  অপেক্ষা  প্রায় 10⁴⁰ গুন শক্তিশালী আকর্ষণ বল । নিউক্লিও বল  ব্যাস্ত বর্গ নিয়ম  মেনে  চলে না । এই  বল  খুব  কম  দূরত্বের(১.৫ ফার্মি )  মধ্যে  কার্যকরী হয় (1 ফার্মি  = 10⁻¹⁵ m)
পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাস :
পরমাণুর বিভিন্ন শক্তি স্তরে ইলেকট্রনের ক্রমান্বয়িক সজ্জাকে ইলেকট্রন  বিন্যাস  বলে । নিম্নের নিয়ম অনুসারে ইলেকট্রন গুলি পরমাণুর বিভিন্ন শক্তিস্তরে বিন্যস্থ হয় ।
১) n তম শক্তিস্থরে  সর্বোচ্চ ইলেকট্রন  সংখ্যা  2n² | তবে n >4 হলে  সংশ্লিষ্ট  কক্ষে  32 টির বেশি  ইলেকট্রন  থাকতে  পারে না ।
এই  নিয়ম অনুসারে  প্রথম কক্ষে (K কক্ষ ) সর্বোচ্চ  ইলেক্ট্রন সংখ্যা  2 ( 2 x 1²) |
দ্বিয়ীয কক্ষে সর্বোচ্চ  ইলেক্ট্রন সংখ্যা  8 (2 x 2²) |
তৃতীয় কক্ষে  সর্বচ্চো ইলেকট্রন  সংখ্যা 18 (2 x 3²) |
চতুর্থ কক্ষে  ইলেকট্রন  সংখ্যা  32 (2 x 4² ) |
2) বহিস্ত শক্তিস্তরে 8 টির  বেশি  ইলেকট্রন  থাকতে  পারে  না  এবং  তার  আগের  কক্ষে  18 টির  বেশি  ইলেকট্রন  থাকতে পারে  না ।
     Bohr's original scheme for electronic configurations of atoms ...
কক্ষ থেকে কক্ষান্তরে  ইলেট্রনের গমনের ফলে  শক্তির বিকিরণ  বা  শোষণ :
  Spectroscopy - Atoms and Light
বাহ্যিক শক্তি (আলো  ইত্যাদি ) প্রয়োগ করলে কোনো কক্ষ পথে  থাকা  ইলেকট্রন  ওই শক্তি  শোষণ  করে এলেক্ট্রনটি নিম্ন শক্তিস্তর থেকে  উচ্চ শক্তিস্তরে  গমণ  করে ।পরমাণুর এই  অবস্থাকে  উদীপ্ত (excited ) অবস্থা  বলে ।
নিন্ন শক্তিস্তরে ইলেকট্রনের শক্তি E₁ এবং উচ্চ শক্তিস্তরে E₂ হলে ইলেকট্রন দ্বারা  শোষিত শক্তির  পরিমান  E₂ - E₁ |
আবার উদীপ্ত অবস্থা  থেকে  স্বাভাবিক (Ground) অবস্থায় যখন ইলেকট্রন  ফিরে  আসে তখন  বিকিরিত  শক্তির  পরিমান E₂ - E₁ ।
     Emission and Absorption - Principles of Structural Chemistry

পরমানূর্ আয়নীয়ভবন
বাহ্যিক শক্তি  যথা তাপ  বা  আলোক  শক্তি প্রয়োগ করলে  পরমাণুর  বহিঃস্ত কক্ষ  থেকে  ইলেকট্রন  নিউক্লিয়াসের  আকর্ষণ  ছাড়িয়ে পরমাণু  থেকে  অপসারিত  হয় এবং  পারমাণুটি ক্যাটায়নে পরিণত  হয় । এক্ষেত্রে  প্রদত্ত  শক্তিকে আয়োনীভবন শক্তি  বলে ।
গ্যাসীয়  অবস্থায়  একটি  বিচ্ছিন্ন  পরমাণুর  সর্ববহিস্ত কক্ষ পথ  থেকে  একটি  ইলেক্ট্রনকে  নিউক্লিয়াসের আকর্ষণ থেকে মুক্ত করে একক ধনাত্মক আয়ন এ পরিণত  করতে  যে  সর্বনিম্ন  শক্তি  প্রয়োগ  করতে  হয় তাকে ওই মৌলের  প্রথম  আয়নন শক্তি বা আয়নন বিভব   বলে ।
বিভিন্ন প্রকারের আয়নন পদ্ধতি :
1) তাপীয়  আয়নন : কিছু  ধাতুকে(টাংস্টেন ) উচ্চ  তাপমাত্রায়  উত্তপ্ত করলে ইলেকট্রন  নির্গত  হয়  এবং  পরমাণু গুলি ধনাত্মক আয়ন এ পরিণত হয় ।একে  ধাতুর তাপিয় আয়নন  বলে ।
2) অতি বেগুনি  রশ্মির প্রভাবে  আয়নন  : ক্ষার ধাতু ( সোডিয়াম ,পটাসিয়াম  ইত্যাদি ) উপর  অতি  বেগুনিরশ্মি পড়লে ধাতুর উপরিতল থেকে  ইলেকট্রন  নিঃসৃত  হয়  এবং  ক্যাটায়ন উৎপন্ন  হয় ।
নীচের MCQ  গুলির  উত্তর দাও :( প্রদত্ত LINK টিতে ক্লিক কর )

Organic Chemistry( জৈব রসায়ণ)

জৈব রসায়ন (Organic Chemistry):
জৈব যৌগ -
কার্বনের অক্সাইড ,ধাতব কার্বনেট  ও  বাইকার্বোনেট ,ধাতব সায়ানাইড  এবং হাইড্রোজেন সায়ানাইড  বাদে  কার্বন দ্বারা গঠিত  যে  যৌগ  গুলির  মধ্যে  কার্বনের ক্যাটিনেশন ধৰ্ম ,সমবয়তা বৈশিষ্ট দেখা  যায় তাদের  জৈব যৌগ বলে ।
              Organic Compounds | CK-12 Foundation
জৈব রসায়ন:
জৈব যৌগের রসায়ন কে  জৈব রসায়ন বলে ।
জৈবযৌগের বৈশিষ্ট :
1) জৈব যৌগের অণুতে  কার্বন  পরমাণু  অবশ্যই  থাকবে ।
2) জৈবযৌগ গুলি  প্রধানত  সম যোজী ।
3)এদের  গলনাঙ্ক, স্ফুটনাঙ্ক  কম  হয় । বেশিরভাগই উদ্বায়ী ।
4) জৈব যৌগ  গুলি জলে অদ্রবণীয় ,কিন্তূ জৈব দ্রাবকে (এলকোহল ,বেঞ্জিন ) দ্রবণীয় ।
5) এগুলি তড়িৎ বিশ্লেষ্য নয় । গলিত  বা  দ্রবীভূত অবস্থায়  তড়িৎ  পরিবহন করে  না ।
6) জৈব যৌগ  গুলির মধ্যে রাসায়নিক বিক্রিয়া মন্থর গতিতে  হয় ।
7) প্রায় সমস্ত জৈব যৌগ  দাহ্য ।
অজৈব যৌগের বৈশিষ্ট :
1) অজৈব যৌগ গুলির  মধ্যে  কার্বনের মতো নিৰ্দিষ্ট কোনো মৌলের  উপস্থিতি দেখা যায় না ।
2) অজৈব যৌগ গুলির মধ্যে  সাধারণত  আয়োনীয় যোজ্যতা দেখা যায় ।
3) এদের  গলনাঙ্ক ,স্ফুটনাঙ্ক বেশি ।
4) এগুলি  জলে দ্রাব্য হয় । জৈব দ্রাবকে অদ্রবণীয় হয় ।
৫) এগুলি তড়িৎ বিশ্লেষ্য ,এদের  জলীয় দ্রবণ  তড়িৎ পরিবহণ করে ।
6) এদের মধ্যে রাসায়নিক বিক্রিয়া  দ্রুতগতিতে  হয় ।
7) বেশির ভাগ অজৈব যৌগ অদাহ্য ।
কার্বনের চতুর্যোজ্যতা :
                            Electrons in carbon |Their Valency and Configuration.
কার্বনের পরমাণু ক্রমাঙ্ক 6 |এর  ইলেকট্রন বিন্যাস  হল 2.4 |সর্ব বহিঃস্ত  কক্ষে 4 টি  ইলেকট্রন  থাকে । বাহিরের এই  চার টি  ইলেকট্রন অন্য  পরমাণুর  চারটি  ইলেকট্রনের  সঙ্গে  চারজোড়া ইলেকট্রন  গঠন  করে  সম যোজ্যতায় যুক্ত  হয়ে জৈব যৌগ গঠন করে । এই জন্য  কার্বনের  যোজ্যতা  সব্সময় 4 হয় ।
                      The four single bonds of a carbon atom in CH_4 are directed toward ...
কার্বনের  চারটি  যোজ্যতা  এক সমতলে থাকে না । একটি চতুস্তলকের  কেন্দ্রে  কার্বন পরমাণু  অবস্থান করে । চারটি যোজ্যতা  চতুস্তলকটির চারটি শীর্ষ বিন্দুর দিকে  প্রসারিত । যেকোনো দুটি যোজ্যতার মধ্যবর্তী  কোণের পরিমান  প্রায় 109.5⁰ |
মিথেনের গঠন (CH₄) :  এখানে  একটি  কার্বণ  পরমাণু  চারটি  হাইড্রোজেন পরমাণুর  সঙ্গে  এক বন্ধন দ্বারা  সম যোজ্যতায় যুক্ত  থাকে ।
                                                        File:Methane-2D-square.png - Wikimedia Commons
কার্বন পরমাণুর ক্যাটিনেশন ধর্ম :
কার্বন পারমাণুগুলি পরস্পরের সঙ্গে  একবন্ধন (ー),দ্বিবন্ধন (=) বা ত্রিবন্ধন (☰) দ্বারা যুক্ত হয়ে  লম্বা  কার্বন শৃঙ্খল ( মুক্ত অথবা  বদ্ধ ) গঠন  করতে পারে । কার্বন  পরমাণুর এই  ধর্মকে  ক্যাটিনেশন  ধৰ্ম  বলে ।
         What is catenation? - Quora
হাইড্রোকার্বন :কার্বন  ও  হাইড্রোজেন  দ্বারা  গঠিত  জৈব যৌগকে  হাইড্রো কার্বন  বলে ।যেমন - মিথেন (CH₄), ইথেন (C₂H₆) ,ইথিলিন (C₂H₄)ও এসিটিলিন (C₂H₂) ইত্যাদি ।
হাইড্রোকার্বনের শ্রেণীবিভাগ : হাইড্রোকার্বন  দুই  প্রকারের  হয় । 1) সম্পৃক্ত  হাইড্রোকার্বন ( Saturated Hydrocarbon) 2) অসম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন (Unsaturated Hydrocarbon)
1)সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন বা এলকেন :যে  হাইড্রোকার্বনে  কার্বণ পারমাণুগুলি  পরস্পরের  সঙ্গে  এক বন্ধন দ্বারা  যুক্ত থাকে তাকে  সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন বা  এলকেন  বলে ।যেমন -ইথেন (C₂H₆) ,প্রোপেন (C₃H₈) ,বিউটেন (C₄H₁₀) ইত্যাদি । সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বনের  সাধারণ  সংকেত CnH₂n₊₂ , যেখানে  n = 1,2,3,4 ইত্যাদি ।
     Difference Between Ethane and Ethene | Definition, Properties ... Difference Between Propane and Propene | Definition, Chemical and ...
                      ইথেন                                                                    প্রোপেন 
                                  Butane - Wikipedia

                                                                 বিউটেন 
2) অসম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন : যে সব  হাইড্রোকার্বনের অণুতে কমপক্ষে দুটি  কার্বণ পরমাণু  পরস্পরের সঙ্গে সমযোজ্যতায় দ্বি বন্ধন বা  ত্রিবন্ধন দ্বারা  যুক্ত  থাকে তাদের  অসম্পৃক্ত  হাইড্রোকার্বন  বলে ।অসম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বোন দুই প্রকারের হয় । i) এলকিন (Alkene)  ii) এলকাইন (Alkyne )
 i) এলকিন (Alkene): দ্বিবন্ধন যুক্ত  অসম্পৃক্ত  হাইড্রোকার্বনকে এলকিন বলে । এলকিনের  সাধারণ সংকেত  হয়  CnH₂n যেখানে  n = 2,3,4 ইত্যাদি ।যেমন - ইথিলিন( C₂H₄), এখানে  n = 2 |
         Difference Between Ethene and Ethyne | Definition, Properties ...
 ii) এলকাইন (Alkyne ) ত্রিবন্ধন যুক্ত  অসম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বনকে  এলকাইন বলে । এদের সাধারণ  সংকেত  CnH₂n₋₂ যেখানে  n = 2,3 4 ইত্যাদি পূর্ণ  সংখ্যা । যেমন -এসিটিলিন (C₂H₂)
                 How to detect the hybridization of acetylene - Quora
হাইড্রোকার্বন মূলক বা  জৈব মূলক : হাইড্রোকার্বন থেকে  এক বা  একাধিক হাইড্রোজেন  পরমাণু  অপসারিত হয়ে কার্বন  ও হাইড্রোজেনের যে  পরমাণু  জোট  পাওয়া যায়  যা  রাসায়নিক  বিক্রিয়ায়  সাধারণত অপরিবর্তিত  থাকে তাকে হাইড্রোকার্বন মূলক  বা  জৈব মূলক  বলে ।যেমন - মিথেন(CH₄ ) থেকে মিথাইল মূলক ( 一CH₃) ,ইথেন থেকে ইথাইল (一C₂H₅) ইত্যাদি ।
   methyl group | Methyl group, Methylation, Math                   Ethyl group - Alchetron, The Free Social Encyclopedia                                       
মিথাইল গ্রুপ                                                                     ইথাইল গ্রুপ 
                                                            
কার্যকরী মূলক ( Functional groups) :
যে  সমস্ত সক্রিয় পরমাণু  বা পরমাণু  পুঞ্জ  জৈব যৌগের অণুতে উপস্থিত  থেকে  যৌগের প্রকৃতি ,ধৰ্ম  এবং  রাসায়নিক বিশিষ্টতা  নির্ধারণ করে  তাদের কার্যকরী মূলক  বলে । নিচে কয়েকটি কার্য্যকরী মূলকের  নাম ও পরিচিতি দেওয়া হল ।
1) হাইড্রক্সিল মূলক ( ₋OH) : যে সকল জৈব যৌগে  এই  মূলক  থাকে  তাদের  এলকোহল  বলে । যেমন মিথাইল এলকোহল (CH₃OH ) ,ইথাইল এলকোহল (C₂H₅OH)|
Methanol, methyl alcohol, molecule. Sugar substitute and E951 ...
মিথাইল এলকোহল


ইথাইল এলকোহল 
2) এলডিহাইড মূলক ( ーCHO) 
   Which of the following is the functional group of toppr.com
                   এলডিহাইড মূলকের গঠন সংকেত

যে সমস্ত জৈব যৌগে এলডিহাইড মূলক থাকে  তাদের  এলডিহাইড  যৌগ  বলে । যেমন এসিটেলডিহাইড (CH₃CHO )
    Acetaldehyde Formula: Definition, Concepts and Examplesবা  Acetaldehyde Formula, Chemical Structure And Uses
  এসিটেলডিহাইডএর গঠন সংকেত ।
কিটো মূলক (ーCO ) :
              কিটোন মূলকের গঠন সংকেত avonapbio / Carbonyl Group 
যে সকল জৈব যৌগে কিটোন মূলকটি থাকে তাদের কিটোন জাতীয় যৌগ বলে । যেমন - এসিটোন ( CH₃COCH₃)
এসিটোনের গঠন সংকেত -
    Acetone | Structure, Uses and Properties of Acetone
4) কার্বক্সিল মূলক (一COOH ) :
এই মূলকের গঠন সংকেত -
       Learn Introduction and Structure of Carboxylic Acid in 2 minutes.
এই মূলকটি বর্তমান থাকলে  যৌগটি জৈব এসিড বা কার্বক্সিলিক এসিড  হয় । যেমন  - এসিটিক এসিড (CH₃COOH) ও ফরমিক এসিড (HCOOH) |

    26.7: Organic Compounds Containing Functional Groups - Chemistry ...
                
5) এমিন মূলক ( ーNH₂ ) :
                 এমিন মূলকের গঠন সংকেত      Illustrated Glossary of Organic Chemistry - Amino group; amido group
যৌগ গুলিকে বলা হয়  এমিন যৌগ ।যেমন - মিথাইল এমিন (CH₃NH₂)
Methylamine - Alchetron, The Free Social Encyclopedia  বা                   Methylamine hydrochloride | 593-51-1 - Guidechem
মিথাইল এমিন এর গঠন সংকেত।
6) ইথার বা এলকোক্সি মূলক ( ーOー ):
এইমূলক  উপস্থিত থাকলে যৌগ গুলিকে  ইথার যৌগ  বলা  হয় ।  যেমন ডাইমিথাইল ইথার (CH₃OCH₃)
        Why does acetone have a greater dipole moment than dimethyl ether ...
                                       বা 
                    Dimethyl ether - YouTube

সমা বয়তা ( Isomerism):
জৈব যৌগের যে  বৈশিষ্টের  জন্য  একই  আনবিক সংকেতের  সাহায্যে ভিন্ন ভিন্ন  আনবিক গঠন  ও ধর্মাবলম্বী জৈব যৌগকে প্রকাশ  করা  যায় তাকে  সমাবয়তা বলে । এই ভাবে প্রাপ্ত ভিন্ন ভিন্ন  জৈব যৌগগুলিকে পরস্পরের সমাবয়ব (Isomer) বলে ।
সমা বয়তা  দুই  প্রকারের হয় - 1) গঠনমূলক সমা বয়তা  2) ত্রিমাত্রিক সমা বয়তা
1) গঠনমূলক সমা বয়তা : জৈবযৌগে পরমাণুসমূহের  আনবিক  গঠনের  ভিন্নতার  জন্য  যে সমা বয়তা  দেখা যায় তাকে গঠনমূলক সমা বয়তা  বলে । গঠনমূলক সমা বয়তা আবার  দুই  প্রকারের -
a)   কার্যকরী মূলক ঘটিত সমা বয়তা  : জৈব যৌগে  কার্যকরী মূলকের পার্থক্যের  জন্য যে সমা বয়তা র  সৃষ্টি হয় তাকে কার্যকরি মূলক ঘটিত সমা বয়তা বলে ।যেমন -CH₃CH₂OH( কার্যকরী মূলক - OH), এবং
CH₃OCH₃(কার্যকরি মূলক 一O一) | ₃প্রত্যেকের আনবিক  সংকেত C₂H₆O) |
প্রথম জৈব যৌগ টি  এলকোহল দ্বিতীয়  যৌগটি  হল  ইথার । এই  দুটি  যৌগের  সম্পূর্ণ  আলাদা ।
b) অবস্থান ঘটিত সমাবয়তা :এই ধরনের  সমাবয়তায় কার্যকরী  মূলকের  অবস্থানের  পার্থক্য দেখা  যায় । যেমন - CH₃CH₂CH₂OH এবং  CH₃CHOHCH₃ | এদের প্রতেকের  আনবিক  সংকেত C₃H₈O |এখানে দুটিই  এলকোহল । কিন্তূ  দুটি ভিন্ন  ধরনের এলকোহল । প্রথমটি প্রোপাইল এলকোহল । দ্বিতীয় টি  আইসো প্রোপাইল এলকোহল ।
 1-PROPANOL - (71-23-8) - Physical Properties • Chemical Properties ...  Isopropyl Alcohol - Isopropanol Latest Price, Manufacturers ...
 বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্নাবলী (MCQ) :
1. নীচের কোনটি একটি সম্পৃক্ত  হাইড্রোকার্বন ?
A) C₃H₆ B) C₂H₄ C) C₂H₂ D) C₂H₆
2. ইথাইল এলকোহল এর কার্যকরী মূলক হল 
A) ーOH  B) ーCHO C) >C=O D) 一COOH
3.নীচের কোনটি দুটি কার্বন পরমাণু যুক্ত  এলকিল গ্রুপ ?
A) মিথাইল  B) ইথাইল  C) প্রোপাইল  D) আইসোপ্রোপাইল 
4.সম যোজী  দ্বিবন্ধন যুক্ত  একটি  জৈব যৌগ  হল 
A) মিথেন  B)  ইথেন  C)  ইথিলিন  D) এসিটিলিন 
5. LPG এর  প্রধান উপাদান  হল 
A) বিউটেন  B) প্রোপেন  C) ইথেন D) এসিটিলিন 
6. বায়ুতে  মিথেনের দহনের ফলে উৎপন্ন হয় 
A) কার্বন মনোক্সাইড  B) কার্বন ডাই অক্সাইড  C) ইথিলিন  D) ইথেন 
7.একটি জৈব ভঙ্গুর পলিমার হল 
A) পলিথিন   B) পিভিসি  C) টেফলন  D) স্টার্চ 
8.বার্ণিশের কাজে ব্যবহৃত হয় 
A) মিথেন  B) ইথাইল এলকোহল  C) ডিনেচার্ড স্পিরিট  D) ইথিলিন 
9.নিচের কোনটি এলডিহাইডের কার্যকরী গ্রুপ ?
A) ーOH B) ーCHO  C) >C = O D) ーCOOH
10.কোনটি সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বোন নয় 
A) CH₄ B) C₂H₆ C) C₂H₄  D) C₃H₈

MCQ for H.S

 1. A chemical cell of emf  E and internal resistance r is connected to a resistance R .The potential difference across R is given by :  A) ...